loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

রুবেল-রনি-রাসেলের ঝলকে ফাইনালে ঢাকা


রুবেল-রনি-রাসেলের ঝলকে ফাইনালে ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রাইডার্স: ১৯.৪ ওভারে ১৪২ (বোপারা ৪৯, মিঠুন ৩৮, নাদিফ ২৭; রুবেল ৪/২৩, রাসল ২/৩১, শুভাগত ১/১৮, সাকিব ১/২৯, অনিক ২/২১)
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৬.৪ ওভারে ১৪৭/৫ (রাসেল ৪০*, রনি ৩৫, সাকিব ২৩, পোলার্ড ১৪; মাশরাফি ২/৩২, নাজমুল ১/৪৭, হাওয়েল ১/১৭)
ফলাফল: ঢাকা ডায়নামাইট্স ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রুবেল হােসেন

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে উঠার লড়াইটা তেমন জমজমাট হয়নি। রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্য ২০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ঢাকা ডায়নামাইট্স। ফলে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ৬ষ্ঠ আসরের শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতিপক্ষ হলো সাকিব আল হাসানের দল।

প্রাথমিক পর্ব শেষে ধুঁকে ধুঁকে সেরা চারে উঠেছিল ঢাকা। তবে এরপরই বদলে যেতে শুরু করেছে দলটি। চিটাগং ভাইকিংসকে বিদায় করার পর রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করেও আগের আসরের শোধ তুলেছে সাকিব-রুবেলরা।

শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। নাজমুল ইসলাম অপুর করা ওই ওভারে টানা তিন ছক্কাতেই ম্যাচ শেষ করে দেন রাসেল। ম্যাচে বেশ আগে থেকেই টেনশন ছিল না। তবু এর মধ্যে এই ক্যারিবিয়ান দেখান তাঁর রাজকীয় দাপট।

১৪৩ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই উপুল থারাঙ্গাকে হারায় ঢাকা। মাশরাফিকে উড়াতে গিয়ে চার রান করেই ফেরেন এই লঙ্কান। দ্বিতীয় উইকেটে সুনীল নারাইনের সঙ্গে জুতসই জুটিতে পরিস্থিতি সামলান রনি তালুকদার। নাজমুল ইসলামকে পেটাতে গিয়ে নারাইন ফিরলেও রনি খেলছিলেন দায়িত্ব নিয়ে। তাঁর সঙ্গে টিকে গিয়ে সাকিবও দলকে দেন স্বস্তি। হাওয়েলের স্লোয়ার পিক করতে দেরি করে সাকিব ফেরার পর কিছুটা ছন্দপতন ঢাকার।

মাশরাফি এসে কাইরন পোলার্ডকে কট বিহাইন্ড করার পরই নুরুল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট থিতু ব্যাটসম্যান রনি। তখন ম্যাচ কিছুটা জমে উঠার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে আস্কিং রানরেটে বড় কোনো তাড়া তৈরি না হওয়ায় টলে যায়নি ঢাকা। বরং ব্যাটের ঝাঁজ দেখিয়েছেন রাসেল। ১৯ বলে পাঁচটি ছক্কায় ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন এই ক্যারিবিয়ান।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু এদিনও হয়েছে ব্যর্থ। বরং এবারের আসরে প্রথমবার নামা নাদিফ চৌধুরীর ব্যাটেই রংপুর পায় প্রাথমিক গতি। প্রথম দুই ওভার থেকে মাত্র পাঁচ রান এলেও পরের দুই ওভারে থেকে ৩৭ রান নিয়ে নেন দুজন। এরমধ্যে শুভাগত হোমের টানা তিন বলে তিন ছক্কা মেরে বড় অবদান রাখেন নাদিফই। ওই ছক্কা উৎসবের পরই অবশ্য বিদায় নিতে হয় তাঁকে।

শুভাগতকে আরেকটি মারতে গিয়ে পোলার্ডের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তাঁর ১২ বলে ২৭ রানের ইনিংস। রংপুরকে স্তব্ধ করে দিয়ে এর পরের ওভারেই বিদায় নেন গেইল। রুবেল হোসেনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

দারুণ ফর্মে থাকা রাইলি রুশো এসেই রুবেলকে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। উড়ন্ত অবস্থা থেকে তখন হুট করেই চরম সংকটে রংপুরের ব্যাটিং ইনিংস। সেই অবস্থা থেকে দারুণ জুটিতে দলকে টেনে তুলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রবি বোপারা। দুজনে মিলে এগিয়ে নেন দলকে। বেশি আগ্রাসী থাকা মিঠুন আউট হলে ভাঙ্গে ৬৪ রানের জুটিটি।

২৭ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রান করে কাজি অনিকের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিঠুন। এরপর আবারও দ্রুত দুই উইকেট খোয়ায় রংপুর। সাকিব তুলে নেন বেনি হাওয়েলকে। মাশরাফি কাটা পড়েন অনিকের বলে মারতে গিয়ে। শেষ দিকে রংপুরকে লড়ার মতো পুঁজি এনে দেন বোপারা। কিন্তু ম্যাচ জিততে তা যথেষ্ট ছিল না।

Loading...