loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

গোল উৎসবে মেতে কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সা


গোল উৎসবে মেতে কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সা

প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় লেগে তা পুষিয়ে নিয়েছে এফ. সি বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে অলিম্পিক লিওঁ’র বিপক্ষে রীতিমত গোল উৎসব করেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ক্লাব। ম্যাচের নায়ক অবশ্যই আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। নিজে দুই গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও দুই গোল। ফলে ৫-১ গোলের ব্যবধান নিয়ে কোয়ার্টারে পা রাখলো ক্যাটালান জায়ান্টরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে ক্যাম্প ন্যুতে অনুষ্ঠিত ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পাওয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন মেসি। বক্সের বাইরে থেকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ, কিন্তু লিওঁ’র পর্তুগিজ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস কর্নারের বিনিময়ে মেসির শট ঠেকিয়ে দেন। 

অবশ্য গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি মেসিকে। ১৬ মিনিটে শট নিতে উদ্যত সুয়ারেজকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন লিওঁ গোলরক্ষক, রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। দারুণ এক চিপে লোপেসকে বোকা বানিয়ে চলতি আসরে নিজের সপ্তম গোল করেন বার্সা-অধিনায়ক।

বার্সার দ্বিতীয় গোল আসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপ কটিনিয়োর পা থেকে। ৩১তম মিনিটে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল বক্সে থাকা সুয়ারেজের কাছে পৌঁছে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থার। সুয়ারেজ লিওঁ’র ডিফেন্ডার ফার্নান্দো মার্সেলকে পাশ কাটিয়ে বল দেন কটিনিয়োর পায়ে। এমন সহজ সুযোগ নষ্ট করেননি তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা চালায় লিওঁ। ৫৮তম মিনিটে কিছুটা সফলও হয় ফরাসি ক্লাবটি। ডাচ তারকা ম্যামফিস ডিপে’র ক্রস থামাতে নিজের লাইন ছেড়ে উঠে আসেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। ওদিকে বার্সা ডিফেন্ডার ল্যাংলেটকে পরাস্ত করে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেড করেন মার্সেলো, আর গোলমুখে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান কমান লিওঁ মিডফিল্ডার লুকাস তৌসার্ট।

৭৮তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন মেসি। সার্জিও বুসকেতসের পাস থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় লিওঁ’র ডিফেন্স ভেদ করে ডান পায়ে জোরালো শট নেন মেসি, প্রথমবার সেই শট ঠেকিয়ে দেন লিওঁ গোলরক্ষক; তবে তাঁর এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে নিজের অষ্টম গোল করে শীর্ষ গোলদাতা হয়ে যান মেসি। অবশ্য এই তালিকায় আট গোল নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডভস্কি।

দলের এমন গোল-উৎসবে অংশ নেন বার্সা-ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকেও। গোলের উৎস পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলতে থাকা মেসি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে পাহারাবিহীন অবস্থায় থাকা পিকের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে সুযোগটি নষ্ট করেননি তিনি।

লিওঁ’র কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন উসমান ডেম্বেলে। লিওঁ রক্ষণভাগের মাঝখানে দৌড়ে গিয়ে মেসি আলতো পাসে বল ঠেলে দেন আনমার্কড্ থাকা ডেম্বেলের পায়ে। গোলমুখে নিচু শট নেন ডেম্বেলে। লিওঁ’র বদলি গোলরক্ষক জর্জেলিন হাত বাড়িয়ে বল ছুঁয়ে দিলেও তা গোল ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।

এই জয়ে রেকর্ড টানা ১২বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালো বার্সেলোনা। সর্বশেষ ২০০৬/০৭ মৌসুমে লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল স্পেনের ক্লাবটি।

Loading...