loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ শুরু হয়েছে


বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ শুরু হয়েছে

টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জনপ্রিয় প্রদর্শনী ১৫তম বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯। তিনদিনের বেসিস সফটএক্সপো চলবে আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত।

আইসিসিবির হল নং-১ (গুলনকশা)-এ সকাল ১০টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে সফটএক্সপো ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন। বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। সফটএক্সপো ২০১৯ সম্পর্কে সূচনা বক্তব্য রাখেন সফটএক্সপো ২০১৯-এর আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ফারহানা এ. রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে অ্যাপ্স, ড্রোনের মতো প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে আমরাও  বিশ্বমানের মেলা আয়োজনে সক্ষম হচ্ছি। এটি একটি ইতিবাচক সংযোজন। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি এবং ৯৫ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আন্তরিক। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও  দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইনফো সরকার থ্রিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে ছয় লক্ষ তরুণ-তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। এঁরাসহ দেশের বর্তমানে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণী তথ্যপ্রযুক্তির সাথে কাজ করছেন - যা ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লক্ষে পৌছাবে।

দেশের সফটওয়ার খাতের উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সরকারি কাজে দেশিয় সফটওয়ার প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটঅয়্যার দেশিয় সকল প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে বলবো। প্রয়োজনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়া তিনি দেশিয় সফটওয়ার প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা বাড়াতে এবং এর ব্যবহার করতে দেশিয় টেলিকম খাত ও ব্যাংকিং খাতকে অনুরোধ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনটি বেশ বড় ও চমকপ্রদ। নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনে এই আয়োজন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমন একটি আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এবারের বেসিস সফটএক্সপো সফটওয়্যার ও আইটি এস সেবা প্রদর্শন এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার দিক হতে এই আয়োজন শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের এই আগ্রহ ও অংশগ্রহণ এটা প্রমাণ করে যে, এই শিল্প খাতের অবস্থান আশাব্যঞ্জক ও সম্ভাবনাময়।

সফটএক্সপো ২০১৯-এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান তাঁর বক্তব্যে সফটএক্সপোর সামগ্রিক আয়োজন সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, এবার ১০টি পৃথক জোনে ২৫০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। রয়েছে ৩০টির মতো সেমিনার, বিজনেস লিডারশিপ মিট, আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, গেমিং ফেস্ট ইত্যাদি। 

এছাড়া জাপানের সাথে ব্যবসা সম্প্রসারণে ১০টি জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিটুবি ও তিনটি সেমিনার ছাড়াও এক্সপোর দ্বিতীয় দিনকে জাপান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন হবে। তিনি বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনে সহযোগী সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।  

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটঅয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত পঞ্চদশ সফটএক্সপোতে পার্টনার হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন ও এক্সিপেরিয়েন্স জোনের পার্টনার Leveraging ICT for Growth, Employment and Governance Project (LICT) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

এবার প্রদর্শনী এলাকাকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন ও এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এজুকেশন জোন, ফিনটেক জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। 

আয়োজন করা হবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার - যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন - যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। থাকবে কর্পোরেট আওয়ার, জাপান ডে। লিডারশিপ মিটে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিসিয়াল। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও বরাবরের মতো গেমিং ফেস্ট।

Loading...