loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

জমকালো আয়োজনে শেষ হলো বেসিস সফটএক্সপো


জমকালো আয়োজনে শেষ হলো বেসিস সফটএক্সপো

টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে অনুষ্ঠিত ১৫তম বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এর পর্দা নেমেছে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে, জমকালো আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণির মধ্য দিয়ে।

সমাপণী অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্যাডো ড্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে তুলে ধরা হয়। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, তথ্যপ্রযুক্তির পালাবদলে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের অবদান ও স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত সফটএক্সপো’র সাফল্য তুলে ধরা হয় নজরকাড়া লেজার শোতে। এদিন লোকসংগীতের পাশাপাশি ছিল স্যাক্সোফোনে সংগীত পরিবেশনা।

স্বাগত বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এই এক্সপো আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় আড়াইশো প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তিনদিনে আমরা নানা আয়োজনে দেশে ও বিদেশে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরতে সফল হয়েছি।”

এরপর, বেসিস সফটএক্সপো’র পার্টনার হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, Leveraging ICT for Growth, Employment and Governance Project (LICT), আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

প্রধান অতিথি কাছ থেকে এবারের বেসিস সফটএক্সপো’র সেরা স্টলের পুরস্কার গ্রহণ করে ‘এনভিজিও’। সেরা মিনি প্যাভিলিয়ন নির্বাচিত হয়েছে ‘ইরা ইনফোটেক’। সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার জিতেছে ‘টাইগার আইটি’।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ মূসাকে আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। মুহাম্মদ মূসার দুই কন্যা ও পরিবারবর্গ প্রধান অতিথি কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) গ্রহণ করেন। এ-সময় সম্মাননা প্রদানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান মুহাম্মদ মূসার পরিবারবর্গ। এছাড়া, বেসিস সফটএক্সপো’র আয়োজন সফল করতে অনুষ্ঠান সহযোগীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশিয় সফটওয়্যার নির্মাতাদের জন্য বেসিস সফটএক্সপো এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরেছে। সরকারি-বেসরকারি খাতে দেশি সফটওয়্যারের গুণগত ও কৌশলগত মান তুলে ধরতে বেসিস কাজ করে যাবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সফটএক্সপো’র আহ্বায়ক ও বেসিস-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, “এবারের আসরে আমরা সারাদেশ থেকেই প্রচুর সাড়া পেয়েছি। দেশ-বিদেশ থেকে বক্তারা এসেছেন। নারী উদ্যেক্তাদের জন্য ছিল উইমেন জোন। শিক্ষার্থীরা প্রতিটি স্টলেই সিভি জমা দিয়েছে। ছিল বি-টু-বি ম্যাচমেকিং, জাপান ডে, কর্পোরেট আওয়ার। বিজনেস লিডারশিপ মিটে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিসিয়াল।  আমরা সবাইকে নিয়ে বড় পরিসরে সমগ্র আয়োজনটি করেছি।”

মেলার শেষ দিনেও ১০টি জোনের প্রতিটিই ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। রেজিস্ট্রেশনের লাইন প্রধান ফটক ছাড়িয়ে যায়। এমন জনসমারোহে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রদর্শকেরা।

Loading...