loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

  • নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’ শুরু

  • চেল্সির ছয় গোলে জয়ের ম্যাচে পামার চার গোল

  • ক্যালিয়ারির সাথে ড্র করে ইন্টারের পয়েন্ট নষ্ট

  • বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে লেভাকুজেনের বুন্দেসলিগা জয়

“উগ্রবাদে মগজ ধোলাই শুরু হয় ছয় বছর বয়সে”


“উগ্রবাদে মগজ ধোলাই শুরু হয় ছয় বছর বয়সে”

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রযুক্তিবিদ একেএম নজরুল হায়দার বলেছেন, সহিংস উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করতে টার্গেট করা হয় তরুণদের। এই কাজে উগ্রবাদীরা মগজ ধোলাই শুরু করে অপ্রাপ্ত বয়স থেকে। টার্গেটের পরে গ্রুমিং শুরু হয় ছয় বছর বয়স থেকে। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে রিক্রুটমেন্ট এবং তারপর প্রশিক্ষণ শেষে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয়। শেষ ধাপে ১৬ বছর বয়স পার হয়ে যায়। পুরো কাজটি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। তাই সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।

 বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ২৫ জন শিক্ষক অংশ নেন।

আলোচনায় আরও অংশ নেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ, সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষক ও গবেষক মেহেদী হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)’র সহযোগী অধ্যাপক লে. ক. মোহাম্মদ শাহজাহান মজিব, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী প্রমুখ।

একেএম নজরুল হায়দার বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে নজরদারী করে সেই অনুযায়ী তাকে দলে নিতে কাজ করে উগ্রবাদীরা। 

কাজী মুস্তাফিজ নিজে সাইবার-অপরাধে শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করবে। কিন্তু নিজে সচেতন না হলে ইন্টারনেটে কাউকে নিরাপদ রাখা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

কর্মশালা শেষে লে. ক. মোহাম্মদ শাহজাহান মজিব বলেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মনোজগত বাস করতো তিন গোয়েন্দা বা মাসুদ রানার চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের সন্তানদের মনোজগতে কারা বাস করছে, কারা তাদের প্রভাবিত করছে - তা আমরা জানি না। এ-বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।”

অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী ইন্টারনেট ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “এতদিন আমি বলেছি একজন মানুষ আরেকজনের সম্পদ ও শরীরে আঘাত না করলে সমাজে অশান্তি থাকবে না, আজ আরেকটি বিষয় জানলাম, তা হলো - ব্যক্তিগত তথ্যে অন্যের অনুপ্রবেশ করা উচিত নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে অসচেতনতার কারণে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য ছড়িয়ে যায় এবং তা বিপদ ডেকে আনে।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...