loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

আগামী বাজেট থেকে প্রতিবন্ধীরা ভাতা পাবে


আগামী বাজেট থেকে প্রতিবন্ধীরা ভাতা পাবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেছেন, আগামী বাজেট থেকে দেশের সব প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদান করা হবে।

“আগামী বাজেট থেকে দেশের যত প্রতিবন্ধী রয়েছে তাঁদেরকে আমরা ভাতা প্রদান করবো, ইনশাআল্লাহ,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার ১০ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ৭০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করছে এবং সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে এখন ১৪ লাখ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী রয়েছে - যাঁরা ভবিষ্যতে ভাতার আওতায় আসবে।

শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম আক্রান্ত শিশুরা যথাযথ পরিচর্যা পেলে স্বাভাবিকভাবে জীবনে সকলের সঙ্গে মিলে চলতে পারবে। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা কোনো একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এদের মাঝে যে সুপ্ত জ্ঞান ও প্রতিভা থাকে, সেটাকেও কাজে লাগাতে হবে।”

শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের মেধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তাঁদেরকে আপনারা যদি একটু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে তাঁদের জীবনটাও অর্থবহ হয়। তাঁরা যতটুকু সুযোগ পায় সেটাকে যেন কাজে লাগাতে পারে।”

প্রতিবন্ধীদের জন্য তাঁর সরকার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আধাঘন্টা সময় বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যতটা সময় পায় তার চেয়ে প্রতিবন্ধীরা একটু বেশি সময় পায় এই জন্য যে, তাঁরা যেন পরীক্ষাটা ঠিক মতো দিতে পারে। কারণ, তাঁরা অন্য সবার মতো একই সঙ্গে লিখে শেষ করতে পারে না।

সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার সবসময়ই চায় প্রতিবন্ধীরা কোনোভাবেই যেন সমাজের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, “তাঁদেরকে কেউ যেন বোঝা মনে না করেন। কারণ, তাঁদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এসময় ‘মুক্ত পানি’ মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে নিয়ে অনুষ্ঠানের সবাইকে দেখিয়ে বলেন, এটিও কিন্তু আমাদের প্রতিবন্ধীরাই তৈরী করছে।’ তিনি এই পানি কেনার জন্যও সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের বহুমুখী প্রতিভার উদাহারণ দিয়ে বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা প্লাস্টিক ও বেত দিয়ে মোড়া তৈরী করছে, নানা সাংসারিক উপকরণ তৈরী করছে। তিনি সুযোগ পেলেই এগুলো সংগ্রহ করেন এবং ব্যবহার করেন বলেও জানান।

প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর দুই ঈদ ও নববর্ষের জন্য যেসব শুভেচ্ছা কার্ড পাঠান সেগুলো প্রতিবন্ধীদের চিত্রাংকন থেকেই নির্ধারিত মূল্য দিয়ে সংগ্রহ করা বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের এই চিত্রাংকন থেকে তৈরী কার্ড দিয়ে তাঁর মেয়ে ও বিশ্ব অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ হোসেন একটি অ্যালবাম তৈরী করেছে - যেটি তাঁর সরকার উপহারস্বরূপ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জোয়েনা আজিজ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অটিজম আক্রান্তদের পক্ষে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিজম আক্রান্ত পাঁচজন শিশুকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ও অটিজম সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনজন ব্যক্তিত্ব এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কৃত করেন। তিনি অনুষ্ঠানে নীল বাতিও প্রজ্জ্বালন করেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার।’

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অটিজম শিশু জন্মানোর ক্ষেত্রে মা-বাবা কারোরই কিছু করার থাকে না। তথাপি আমাদের সমাজে এজন্য মা’কেই যে দোষারোপ করা হয়, সেটি বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর প্রতি আমাদের আরো সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত, আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি এটুকুই চাইব এই অবহেলিত গোষ্ঠী যেন আর অবহেলার শিকার না হয়, তাঁরা যেন আমাদের সমাজে তাঁদের যোগ্য স্থান পায়। কারণ, তাঁরা আমাদেরই ভাই-বোন, আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই সব। সেকথা মনে করে, সবাই এই অটিস্টিক প্রতিবন্ধীদের সাথে মিলে চলবেন সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের ৪৭টি সাধারণ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেন। সে-সময়ের বাস্তবতায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারার বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম ছিল প্রগতিশীল, যুগোপযোগী ও কার্যকর একটি পদক্ষেপ।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য তাঁর সরকারের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন ছাড়াও শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাফেরা, যোগাযোগ সহজ করা এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার সরকার ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’ নামে দুটি আইন পাশ করেছে। এ-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিধিও প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট’।

সরকার এই ট্রাস্টকে এ-পর্যন্ত ৭০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রাস্ট থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮১১ জন অস্বচ্ছল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৪০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১২০০ জন অস্বচ্ছল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৭০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, পিতামাতা ও অভিভাবকহীন নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ আসনবিশিষ্ট এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ছেলেদের জন্য বগুড়ায় ৫০ আসনবিশিষ্ট পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। পর্যায়ক্রমে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বৃহৎ পরিসরে এ-ধরনের পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। যখন সম্ভব হবে তখন প্রত্যেক জেলাতেই এই ধরণের কেন্দ্র করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, অনেক বাবা-মা আছেন তাঁদের প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তাঁরা না থাকলে এই প্রতিবন্ধীদের কে দেখবে, অনেকের ভাই-বোন, আত্বীয়-স্বজনরা দেখভাল করলেও সবক্ষেত্রে তা হয়ে ওঠে না। কাজেই বাবা-মা’য়ের এই দুশ্চিন্তাটা দূর করার জন্যই বর্তমান সরকার এই বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে-ট্রাস্ট ফান্ড করেছি সেই ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমেও আমরা সহায়তা দেব। সেক্ষেত্রে বিত্তশালীদের বলবো এই সকল ট্রাস্ট ফান্ডে তাঁরা অনুদান দিতে পারেন বা এই ধরনের পরিচর্যা কেন্দ্র হলে সেখানেও তাঁরা সহযোগিতা করতে পারেন।

অটিজম আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে কিভাবে মিশতে ও চলতে হবে, যাতে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এজন্যই সরকার সূচনা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট যেখানে রয়েছে (ধানমন্ডি ৩২), সেখানে একটি অফিসও করা হয়েছে। সেখানেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আগামীতে এটির আরও বিস্তৃতি ঘটানোর পরিকল্পনা তাঁর সরকারের রয়েছে। এসব কেন্দ্রে তাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা, খেলাধুলাসহ সকল সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদান বিশেষ করে স্পেশাল অলিম্পিকে প্রতিবারই দেশের জন্য স্বর্ণ জিতে আনায় তাঁদের কৃতিত্বের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ চত্বরে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জন্য ৪.১৬ একর জমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার অদূরে সাভারে প্রায় ১২ একর জমিতে ৪৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনক্লুসিভ প্রতিবন্ধী স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্থাপনের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার মিরপুরে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা মাল্টিপারপাস প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, থেরাপিসহ অন্যান্য সকল সেবা প্রদানের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নসহ সকল প্রতিবন্ধী শিশুকে সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ করে দিতে হবে, যাতে সাধারণ শিশুরা প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে মিশে মানুষের ভিন্নতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং ভিন্নতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষা পায়।

তিনি বলেন, সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালার আওতায় ইতোমধ্যে ৬২টি বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য তাঁর সরকার বার্ষিক ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে একটি অবৈতনিক অটিস্টিক বিদ্যালয়ও স্থাপন করা হয়েছে।

অটিস্টিক শিশু ও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্যাডিয়েট্রিক নিউরো-ডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আমাদের নেওয়া নানামুখী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।”

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর ফলে গণসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ এ-ধরনের বাচ্চা হলে আগে যেমন লুকিয়ে রাখতো এখন আর লুকিয়ে রাখে না; কারণ, সেই আত্মবিশ্বাসটা ফিরে এসেছে - আমাদের সমাজে যেটার খুব প্রয়োজন ছিল।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের (অটিজম সম্পর্কিত জাতীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন) কাছ থেকেই প্রথমে এ-সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তারপর থেকেই এই রোগে আক্রান্তদের সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফলে এখন বাংলাদেশেই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপীও এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

অটিস্টিকসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য কর্মংস্থানের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার পুণরায় আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী পরে অটিস্টিক শিশুদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Loading...