loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সার জয়


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সার জয়

ম্যাচে গোল হয়েছে মাত্র একটি, করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার লুক শ; তবে তা প্রতিপক্ষের পোস্টে নয়, নিজেদের জালে বল জড়িয়ে। অবশ্য তাতে স্পষ্ট অ্যাসিস্ট ছিল লিওনেল মেসির, আর হেড করে বলকে লক্ষ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু গোল ঠেকাতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে বলে হালকা স্পর্শ করে গোলদাতার ঘরে নাম উঠেছে লুক শ’র। একমাত্র গোলে জয় নিয়েই ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়েছে আর্নেস্টো ভালভার্ডের শিষ্যরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগের শুরুতে অগোছালো আক্রমণ করে ফল পাচ্ছিল না বার্সা। বিশেষ করে দলের দুই তারকা মেসি ও সুয়ারেজের জুটি যেন জমছিলই না। যাহােক, ১২ মিনিটে দু’জন একসঙ্গেই জ্বলে উঠলেন। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে আলতো ক্রসে ব্যাক পোস্টে পাঠিয়ে দেন মেসি। সেখানে থাকা সুয়ারেজ কঠিন এক কোনা থেকে হেড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন।

বল জালে ঢোকার ঠিক আগ মুহূর্তে তা ম্যান ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ’র পা ছুঁয়ে যায়। সুয়ারেজ উদযাপনে মাতেন। তবে লাইন্সম্যান অফসাইডের ইশারা করলে তাতে সাময়িক ছেদ পড়ে। পরে ভিডিও রেফারির সহায়তা নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান মাঠের রেফারি। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বার্সাকে গোল উপহার দেন লুক শ।

গোল খাওয়ার যেন তেঁতে উঠে স্বাগতিকরা। একের পর এক কাউন্টার অ্যাটাক করে বার্সার রক্ষণকে তটস্ত করে রাখেন পল পগবা-মার্কাস রাশফোর্ডরা। মাঝে জেরার্ড পিকের বাজে পাস পগবার দখলে চলে গেলে তাকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন সার্জিও বুসকেতস। হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। এদিকে মেসিকে ঠেকাতে মরিয়া ম্যানইউ’র ডিফেন্ডাররা তাকে বেশ কয়েকবার কঠিন ট্যাকল করে বসেন। বিশেষ করে লুক শ মেসিকে দু’বার ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছেন। ফলে পরের লেগে খেলতে পারবেন না তিনি ।

২৩তম মিনিটে ডালোটের বাড়িয়ে দেওয়া বলে জোরালো শট নেন রাশফোর্ড। কিন্তু অনেকটা সময় ও জায়গা পেলেও গোলবারের উপর দিয়ে মেরে বসেন ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড। ৩০তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে ম্যাকটমিনিকে ফাউল করেন বার্সার পিকে। পেনাল্টির আবেদন করে ইউনাইটেড। কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেননি। 

এদিকে যখন এসব ঘটছে, মাঝমাঠে তখন ইউনাইটেড সেন্টার-ব্যাক ক্রিস স্ম্যালিংয়ের আঘাতে নাকে আঘাত পেয়ে কাতরাচ্ছেন মেসি। অনেকটা রক্ত বের হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফের মাঠে নামেন বার্সা-অধিনায়ক।

৭৩ শতাংশ সময় বল দখলে থাকলেও ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে সত্যিকারের আক্রমণ করে বার্সা। মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলের বাউন্স থামাতে ব্যর্থ স্ম্যালিংয়ের কাছ থেকে বল নিজের দখলে নিয়ে ফিলিপ কটিনিয়োর দিকে বাড়ান সুয়ারেজ। কটিনিয়োর জোরালো শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গায়া।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ম্যানইউ বেশ কিছু সুযোগ হারায়। এর সঙ্গে যোগ হয় দুর্ভাগ্য। ৫৪তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার পগবাকে ফাউল করেছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার বুসকেতস। কিন্তু তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। তারপরও সুবিধাজনক অবস্থানে বল পেয়ে যান রাশফোর্ড। কিন্তু গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় বার্সা।

সময় যত বাড়তে থাকে খেলার নিয়ন্ত্রণ ততোই বার্সার দিকে যায়। ৬৫তম মিনিটে নেলসন সেমেদোর পাস থেকে বল পেয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করেন সুয়ারেজ।

গোল করতে না পেরে ক্রমে আক্রমণাত্নক খেলা শুরু করে ম্যান ইউ। ৭৭তম মিনিটে আর্তুরো ভিদালকে পেছন থেকে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেন জেসে লিনগার্ড। ৮৩ মিনিটে এর রেশ দেখা যায় পগবার মাঝেও। বার্সার সেমেদোর বুটে আঘাত করেন এই ফরাসি তারকা, নিজেদের ডি-বক্সের কাছে। অথচ সেখানে তাঁর দলের ডিফেন্ডাররা প্রস্তুত ছিলেন। রেফারি ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজালে শট নেন মেসি, কিন্তু তা ডি গায়ার কাছে পরাস্ত হয়। ৮৮ মিনিটে সুয়ারেজকে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেন স্ম্যালিং।

যোগ হওয়া সময়ে সুযোগ পেয়েছিল ওলে গানার সোলশারের শিষ্যরা। কিন্তু স্ম্যালিংয়ের শট ঘুরে ক্রসবারের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে চলে যায়। স্বাগতিক দর্শকদের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। যদিও বার্সার চেয়ে স্বাগতিকরাই বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল এদিন। 

যাহোক, পরাজয় সাথে নিয়েই দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামতে হবে তাঁদের। অন্যদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে উপস্থিত অল্প সংখ্যক বার্সা সমর্থক উৎসবের আমেজ নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। কারণ দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ তো নিজেদের মাঠে।

Loading...