loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী ১১ জ্যৈষ্ঠ, শনিবার (২৫ মে)। দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ত্রিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জে কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ত্রিশালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। এ-ছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

দ্রোহ, প্রেম, সাম্য, মানবতার সঙ্গে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)। মূলত তিনি বিদ্রোহী। পাশাপাশি তাঁর প্রেমিক রূপটিও বিশেষ উজ্জ্বল। কবি বলেছেন, “আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।” পৃথিবীতে এমন ক’জনই বা আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পকে দূরে ঠেলে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন!

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য সুর সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

নজরুল অসাম্প্রদায়িক ও শোষনমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ার মানসে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় লেখালেখি করেন। এসব ক্ষেত্রে তিনি সংগ্রামী ও পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার অন্যতম উৎস।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুলকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির বসবাসের জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন তিনি।

শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-জ্ঞাপনের মধ্যদিয়ে দিবসটির কর্মসূচি পালন শুরু হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

বাংলা একাডেমি দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শনিবার সকালে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং রোববার সকাল ১১টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি,নজরুল একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করবে। বিটিভিসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো কবির ওপর বিশেষ সংবাদ ও নিবন্ধ পরিবেশন করবে।

Loading...