এক সূত্র মতে, এবার ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের চারটি সিটি করপোরেশনসহ এই তিন জেলা থেকে প্রায় এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ নিজ-গ্রাম বা শহরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও জেলার অন্যান্য স্থান থেকেই যাবে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ লোক।
এদিকে, প্রায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। রাজধানীতে ১০ হাজারসহ সারাদেশে জননিরাপত্তায় থাকছেন লক্ষাধিক পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। মসজিদ, ঈদগাহ, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনায় থাকবে বিশেষ নজরদারি। পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার (১ জুন) স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এ-তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর লক্ষাধিক সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে এবং সন্দেহজনক মনে হলে চেকপোস্টে তল্লাশি চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকাতে তিন স্তরের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, “ঈদে ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে যাবে। এই ফাঁকা ঢাকা শহরে পুলিশের পাহারা থাকবে, বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড থাকবে, আমরাও থাকবো। সবাই মিলে একটা নিরাপত্তা-বলয় তৈরি করবো। থাকবে নিরাপত্তা-তল্লাাশি ও রাস্তায় বেরিকেড ব্যবস্থা।”
তিনি বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তায় ঢাকার বিভিন্নস্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানীর ৪৯ থানা এলাকায় টহল দিবে পুলিশ দল।
জানা গেছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সব মেট্রোপলিটন ও রেঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছেন।