টানা তিন ম্যাচ হেরে এবারের বিশ্বকাপে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টির কারণে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বেড়েছিল দলটির জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে জিতলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে নয় উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল।
শনিবারও (১৫ জুন) বৃষ্টির কবল থেকে পুরোপুরি রেহাই পায়নি ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নির্ধারণ করা হয়।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিংয়ের তোপে ৩৪.১ ওভারে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১১৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।
বৃষ্টির কারণে ১২৭ রানের নতুন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই খেলতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাঁদের দৃঢ়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে সুবাস পেতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেননা ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।
ডি কক ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তাঁরা। ২৮.১ ওভারে এক উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরুতেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান হতেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে খেলা আবার শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।
২০ ওভারে দুই উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পরে ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।
এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার তাহির চারটি, মরিস দুইটি, ফেলুকায়ো দুইটি ও কাগিসো রাবাদা একটি উইকেট নেন।
দুর্দান্ত বোলিং করে ২৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ইমরান তাহির।