২০১৯ বিশ্বকাপে এখন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার পেছনে ফেলেছেন অ্যারন ফিঞ্চকে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার পাঁচ ম্যাচে করেছেন ৩৪৩ রান, অন্যদিকে সাকিব চার ম্যাচ খেলেই তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন। সাকিবের বর্তমান রান সংখ্যা ৩৮৪।
এদিকে আরও একটি মাইলফলকে তামিম ইকবালের পরেই পৌঁছালেন সাকিব। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে স্পর্শ করেছেন ছয় হাজার রান। টন্টনে সোমবার (১৭ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তখন উইকেটের আরেকপাশেই ছিলেন তামিম।
ওশান থমাসকে থার্ড ম্যানে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে সাকিব পৌঁছান ছয় হাজারে। ছুটে এসে তাঁকে অভিনন্দন জানান তামিম। ছয় হাজার রান স্পর্শ করার সময় তাঁর রান ছিল ১৯ বলে ২৪। বড় রান তাড়া করে বিশ্বকাপের পরের ধাপের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তখনও বাংলাদেশের সামনে ছিল কঠিন পথ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়ায় আগ্রাসী শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। ২৩ বলে ২৯ করে তিনি ফেরার পরে তামিমের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। মাঠে বৃষ্টির কিছু আভাস দেখতেই ডি/এল মেথডের সুবিধা পেতে আক্রমণাত্মক খেলেন তিনি। তাতে ফলও মিলেছে। দলের রান বেড়েছে তরতরিয়ে। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে এদিন পুরো প্রাধান্য নিয়ে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।
ছয় হাজার রানে যেতে সাকিবের লেগেছে ২০২ ম্যাচ। আর ১৯৭ ম্যাচেই তামিম চলে গেছেন সাত হাজারের কাছে (সোমবারের ম্যাচের আগপর্যন্ত ৬ হাজার ৭১১)। তবে ক্যারিয়ার গড় (৩৬.৬৬) আর স্ট্রাইক রেটে (৮২.০৯) এগিয়ে আছেন সাকিব।
অবশ্য সাকিব আগে বেশিরভাগ সময় নামতেন পাঁচ-ছয় নম্বরে। সেসব পজিশনে বড় রান করার সুযোগ ছিল কম। বছরখানেক ধরে নিজেকে তিন নম্বরে উঠিয়ে আনার ফল সাকিব পাচ্ছেন হাতেনাতে। এই পজিশনে এ-পর্যন্ত তাঁর সাফল্য বিস্ময়কর। এবারের বিশ্বকাপে এই পজিশনে নেমে এখন পর্যন্ত সেরা তিন রান অর্জনকারীর মধ্যে আছেন তিনি।
ইংল্যান্ড-ওয়েল্স বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে দুইটি অর্ধশত আর একটি শতরানে সাকিব করেন ২৬০ রান। দলের ভীষণ প্রয়োজনে নেমে সোমবার অপরাজিত সেঞ্চুরি (১২৪) করে ম্যাচ জয়ে রেখেছেন সর্বোচ্চ ভূমিকা।
এক নজরে সাকিবের ছয় হাজার রান:
০ থেকে ১০০০: ৩৮ ইনিংস
১০০১ থেকে ২০০০: ৩১ ইনিংস
২০০১ থেকে ৩০০০: ৩৬ ইনিংস
৩০০১ থেকে ৪০০০: ৩১ ইনিংস
৪০০১ থেকে ৫০০০: ৩২ ইনিংস
৫০০১ থেকে ৬০০০: ২২ ইনিংস