এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপে বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে নক আউট পর্বে উঠে ইতিহাস গড়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এবার দলটি সামনে আরও এগিয়ে যাওয়ার হাতছানি। আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার ৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব। এই ক্লাবটি এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ক্লাব নামেও পরিচিত।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএফসি’র সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ড্রতে আবাহনীর নক আউট পর্বের এই প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে। ইন্টার জোন সেমিফাইনালে আবাহনী আগে হোম ম্যাচ খেলবে- যা হবে আগামী ২১ অগাস্ট। ফিরতি ম্যাচটি হবে পিয়ংইয়ংয়ে ২৮ অগাস্ট। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এর আগে এএফসি কাপে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে রাজত্ব ছিল ভারতীয় ক্লাব বেঙ্গালুরু এএফসি’র। ২০১৭ সাল থেকে এই অঞ্চলের ক্লাবগুলোকে এএফসি কাপের প্রথম পর্বে নিজেদের মধ্যে খেলার সুযোগ করে দেয় এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। প্রথম দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বেঙ্গালুরু। এবারই ভারতের দুই ক্লাবকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের আবাহনী। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ের বিপরীতে একটি মাত্র ম্যাচ হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্লাবটি।
আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের ফলাফল ছিল আরও ভালো। ছয় ম্যাচে পাঁচটি জয়ের বিপরীতে দলটি হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে। ঘরোয়া লিগে এগারোবার শিরোপাজয়ী কোরিয়ান ক্লাবটির পক্ষে প্রথম পর্বে দলের সর্বোচ্চ ছয় গোল করেছেন স্ট্রাইকার কিম ইউ সং।
এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ বাংলাদেশের ফুটবলে সম্পূর্ণ অপরিচিত নয়। এই দলটির বিপক্ষে অতীতে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের ক্লাবের। ১৯৮৮ সালে সেই সময়ের এশিয়ান ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল পর্বে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাচটি।
ঢাকা মোহামেডানই ১৯৯০ এশিয়ান ক্লাব কাপের চূড়ান্তপর্বে গোলশূন্য ড্র করেছিল উত্তর কোরীয় ক্লাবটির সঙ্গে।
১৯৯১ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ তৃতীয় হয়েছিল।