ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে লালকার্ড দেখেছেন লিওনেল মেসি। চিলির অধিনায়ক গ্যারি মেডেলও একইসঙ্গে মাঠ থেকে বহিষ্কারাদেশ পেয়েছেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত কতোটা যুক্তিযুক্ত ছিল - তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। ধাক্কাধাক্কিতে দু’জন জড়িয়েছিলেন ঠিকই, তবে মেডেলের মতো মারমুখী ভূমিকায় ছিলেন না আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি মেডেলও লালকার্ড পাওয়ার কতখানি যোগ্য ছিলেন - তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। আর এ-ঘটনায় ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হয়নি।
যাহােক, দলের সেরা তারকা লালকার্ড পেলেও শেষ হাসি হেসেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের সাও পাওলোয় শনিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাতে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার এবারের আসরে তৃতীয় স্থান পেয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। একই প্রতিপক্ষের কাছে গত দু’টি কোপার ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্টিনা।
এদিন আলবিসেলেস্তেদের পক্ষে লক্ষ্যভেদ করেন সার্জিও আগুয়েরো ও পাওলো দিবালা। দু’টি গোলই আসে প্রথমার্ধে। আগুয়েরোর গোলের উৎস মেসি। আর দিবালার গোলে বল জুগিয়েছেন জিওভান্নি লো সেলসো। বিরতির পরে স্পট কিক থেকে চিলির হয়ে একটি গোল শোধ করেন আর্তুরো ভিদাল।
দ্বাদশ মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিকের সুবিধা নিয়েছেন আগুয়েরো, ফলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসিকে ফাউল করা হলে রেফারি ফ্রি-কিকের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর বাঁশি শুনেই বল এগিয়ে দেন মেসি। তখনও অপ্রস্তুত ছিলেন চিলির ফুটবলাররা। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়ান আগুয়েরো।
দশ মিনিট পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ১৪ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। লো সেলসোর বাড়ানো পাস দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন দিবালা। এরপর বাঁ পায়ের টোকায় চিলির গোলরক্ষক গ্যাব্রিয়েল আরিয়াসের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে মেসি ও মেডেল মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় দু’পক্ষ।
৫৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ভিদাল। লো সেলসো ডি-বক্সে চিলির মিডফিল্ডার চার্লস আরাঙ্গুইজকে ফাউল করলে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় পেনাল্টির সংকেত দেন রেফারি।
অবশিষ্ট সময়ে গোল হওয়ার মতো আক্রমণ আর তেমন একটা হয়নি। ফলে ২-১ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
রোববার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে শিরোপার লড়াইয়ে স্বাগতিক ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে পেরু।