রোববার (৭ জুলাই) ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন তিতের শিষ্যরা। পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটি।
গ্যাব্রিয়েল জাসুস একটি গোল করেছেন, আরেকটি করিয়েছেন; পরে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়েও গেলেন। শেষ দিকে পেনাল্টিতে ব্রাজিল পেলো আরেকটি গোল। শেষ পর্যন্ত ঘটনাবহুল ফাইনালে পেরুকে উড়িয়ে দিয়েই কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক ব্রাজিল।
ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে নয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। এর আগের শিরোপাটা ছিল ২০০৭ সালে। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার শিরোপা জিতেছে উরুগুয়ে (১৫ বার), এরপরেই রয়েছে আর্জেন্টিনা (১৪ বার)।
রোববার ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। পায়ের কারুকাজ দেখিয়ে বক্সে দু’জনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ছুটে এভারটনকে বাড়ান জাসুস। টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই আলো ছড়ানো এভারটনও সুযোগ হাতছাড়া করেননি (১-০)।
এরপর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুইটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন দুই তারকা ফিলিপ কটিনিয়ো ও রবার্তো ফিরমিনো। ২৪তম মিনিটে ফিরমিনোর কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কটিনিয়ো। এর মিনিট দশেক পরে গোলের সুযোগ হারান ফিরমিনো।
৪৪তম মিনিটে পাওলো গেরেরার গোলে ম্যাচে সমতা আনে পেরু। ২০১৯ কোপা আসরে এই একটি গোলই হজম করেছে ব্রাজিল। যাহোক, এই গোলের রেশ থাকতেই আবার এগিয়ে যায় ব্রাজিল। অর্থারের দারুণ পাস ধরে নিখুঁত প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান জাসুস (২-১)।
বিরতির পরে আক্রমণের ধারা বজায় রাখে কটিনিয়োরা। তবে ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে জাসুস মাঠ ছাড়লে শঙ্কা বাড়ে স্বাগতিকদের।
১০ জনের ব্রাজিলকে অবশ্য চেপে ধরতে পারেনি পেরু। উল্টো ৯০ মিনিটে এভারটনকে বক্সে ফাউল করে বসে দলটি। স্পট কিকে পেরুর জালে তৃতীয়বারের মতো বল জড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন রিশার্লিসন।