loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন সম্পন্ন


রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন সম্পন্ন

রংপুরের পল্লীনিবাসে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাদ আসর ৫টা ৪৫ মিনিটে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে তাঁকে দাফন করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দাফন কোথায় হবে তা নিয়ে দ্বিমত ছিল। রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা চাচ্ছিলেন এরশাদের দাফন হোক রংপুরে। রওশন এরশাদসহ কেউ কেউ চাচ্ছিলেন দাফন হবে ঢাকায়। অবশেষে তাঁর দাফন রংপুরেই হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক সামরিক-শাসক এরশাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদজোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদআসর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়।

এরশাদের মৃত্যুর দিন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দলের প্রয়াত চেয়ারম্যানের দাফন হবে ঢাকার বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। তবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরে এরশাদকে কবর দেওয়ার দাবি তোলেন। সোমবার এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার সকালে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কফিনের সঙ্গে রংপুর যান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

বেলা ১২টার পরে রংপুর ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে রাখা মাইকে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি ওঠে।

জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তফা এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুরু করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে স্লোগান শুরু হয়। এক পর্যায়ে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পরে শতশত কর্মী এরশাদের মরদেহবহনকারী গাড়ি ঘিরে ধরেন। তাঁদের দাবি - রংপুরেই প্রয়াত চেয়ারম্যানের কবর দিতে হবে।

এ-অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে এরশাদের মরদেহ রংপুর শহরের পল্লীনিবাসের দিকে নেওয়া হয়। বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে পল্লীনিবাসের লিচুতলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

চিরনিদ্রায় শায়িত করার আগে কবরের পাশে তাঁর মরদেহকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এ-সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু এমপি, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তফা, সেনাবাহিনীর রংপুর এরিয়া কমান্ডার ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মো. নজরুল ইসলামসহ জাতীয় পার্টির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া নামাজে জানাজায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. ইদ্রিস আলী জানাজা নামাজে ইমামতি করেন।

Loading...