তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের আইসিটি খাতের যথাযথ বিকাশে সরকার ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। ইতোমধ্যে তিনটি হাই-টেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর ভিয়েতনাম অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ-কথা বলেন। ভিয়েতনাম অ্যাম্বাসি ও বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের কর মওকুফসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানি হাইটেক পার্কগুলোতে শিল্প স্থাপন করেছে। এ-সময় তিনি ভিয়েতনামের কোম্পানিসমূহকে যৌথ সহযোগিতা বা এককভাবে বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
পলক বলেন, সময় ও খরচ কমিয়ে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট সংযোগ, ই-গভর্নেন্স, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা এই চারটি মৌলিক স্তম্ভের উপর দেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’, ‘তারুণ্যের শক্তি’ এবং ‘সুশাসন’-এই তিনটি বাতিঘরের মাধ্যমে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া, তারুণ্যের শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিগত ১০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রায় চার হাজার ইউনিয়নে হাইস্পিড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে গ্রামে বসেই জনগণ শহরের সুবিধা পাচ্ছে।
বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি অধ্যাপক মাসুদ এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ন্যশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খোয়া, বেসিস-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমাস কবির, ভিয়েতনাম সফ্টওয়্যার কোম্পানির চেয়ারম্যান সোয়ান ন্যায় তিয়েন বক্তব্য দেন।