loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

শ্রীলঙ্কায় একদিনের সিরিজ হারলো টাইগাররা


শ্রীলঙ্কায় একদিনের সিরিজ হারলো টাইগাররা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৮/৮  (মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৪৩, তামিম ১৯,; প্রদীপ ২-৫৩, উদানা ২-৫৮, আকিলা ২-৩৯)
শ্রীলঙ্কা: ৪৪.৪ ওভারে ২৪২/৩ (ফার্নান্দো ৮২, ম্যাথিউস ৫২*, মেন্ডিস ৪১*, পেরেরা ৩০; মিরাজ ১/৫১, তাইজুল ১/৩৯, মোস্তাফিজ ২/৫০)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২-০ তে এগিয়ে

কিছুটা লড়াই করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে বোলাররা দেখাতে পারেননি কোনো ক্যারিশমা; ফিল্ডিং থাকলো আগের মতোই শ্রীহীন। আবিস্কা ফার্নেন্দো-ঝড়ে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যাওয়া বোলাররা এমন পরিস্থিতিতে আর কূলকিনারা পাননি। হতাশা বাড়িয়ে তামিম ইকবালবাহিনী হেরেছে প্রায় লড়াইবিহীনভাবে।

রোববার (২৮ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়েছে অনায়াসে। ৩২ বল হাতে রেখে জিতেছে সাত উইকেটে। ৭৫ বলে ৮২ রান করেছেন ফার্নেন্দো। ম্যাথিউস ৫২ ও কুশল মেন্ডিস অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দু’টিতেই দাপুটে জয়ে সিরিজ জিতেছে দিমুথ করুনারত্নে অ্যান্ড কোং।‌ বেশ কয়েকদিন থেকে ধুঁকতে থাকা লঙ্কানরা ঘরের মাঠে পেলো দারুণ সাফল্য। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর প্রায় তিন বছর পরে নিজদেশে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো দলটি। 

অন্যদিকে গত বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দেশের সঙ্গে সিরিজ হেরে টাইগাররা হতাশা আরও বাড়ালো। শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচেই সাকিব আল হাসানবিহীন বাংলাদেশকে দেখিয়েছে বেশ বিবর্ণ।

এদিন ক্লান্ত-অবসন্ন টাইগারদের বিপক্ষে ২৩৯ রান তাড়ায় দেখেশুনে শুরুর পরে তাণ্ডব চালান ফার্নান্দো। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটে মামুলি হয়ে যায় মাঝারি মানের লক্ষ্য।

দ্বাদশ ওভারে করুনারত্নেকে বোল্ড করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিরাজ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে কুশল পেরেরাকে নিয়ে ৫৮ রানের আরেকটি জুটি হয়ে যায় ফার্নান্দোর। ফার্নান্দো, পেরেরা দু’জনকেই অল্প সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের জেতার মতো পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হয়নি। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেছেন হেসেখেলে।

এদিন আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায়  এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। একশোর আগে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়া দল অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মুশির ব্যাটে। দায়িত্ব একাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে মুশফিক করেছেন ৯৮ রান। তবু দল যেতে ছুঁতে পারেনি আড়াইশ।

২৩৮ রান করে ম্যাচ জেতা যে সহজ নয় - তা বললেও চলে। বোলিংয়েও বাংলাদেশের হাতে ছিল না বড় কোনো অস্ত্র। যদি মোস্তাফিজ দুর্দান্ত কিছু করতে পারতেন তাহলেও কথা ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো এই পেসার এদিনও ছিলেন একেবারে সাদামাটা। শফিউল ইসলামরা বোঝালেন তাঁরা শুধু কোনোরকমে কাজ চালানোর মতোই।

আগামী ৩১ জুলাই সিরিজের শেষ ম্যাচে হোটাইশওয়াশ এড়াতে নামতে হবে তামিমের দলকে।

Loading...