তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মানবিক বিবেচনায় সার্বক্ষণিক ডেঙ্গু রোগীদের পাশে থাকার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কতিপয় চিকিৎসক ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) চত্বরে পরিচ্ছন্নতা ও মশক-নিধন অভিযান উদ্বোধনকালে বলেন, বেশিরভাগ চিকিৎসকই ডেঙ্গু রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তবে চিকিৎসকদের একটি মহল ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসার চেষ্টা করছেন।
তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম এবং চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীরা এ-সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকনেতাদের অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে কেউ ডেঙ্গুকে মহামারি হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসা করতে না পারে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ইতোমধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাঁদের সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে - প্রয়োজনে তাঁরা বিনা মাশুলে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বহু লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অথবা তাঁদের বাসায় চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
ড. হাছান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে প্রত্যেককেই নিজ নিজ বাসাবাড়ির চত্বর এবং আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে হবে । পাশাপাশি মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে যাতে এডিস মশার বিস্তার না ঘটে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাই মিলে ডেঙ্গু-পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ-কারণে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও ডেঙ্গু-পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে চলচ্চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে এই পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধকরণে সহায়ক হবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন এডিস মশা আর থাকবে না। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমরা যদি একত্রে ডেঙ্গুর মোকাবেলায় কাজ করি, তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে সক্ষম হবো।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভবিষ্যতেও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাবে - এ-কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী কোনো গুজবে কান না দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
