সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৮৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৭৪
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৪৮৭/৭ (ডিক্লেয়ার)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৮) ৫২.৩ ওভারে ১৪৬ (বার্নস ১১, রয় ২৮, রুট ২৮, ডেনলি ১১; লায়ন ৬/৪৯, কামিন্স ৪/৩২)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ২৫১ রানে জয়ী
ম্যান-সেরা: স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)
রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করলেন অজি তারকা স্টিভ স্মিথ। প্রথম ইনিংসে রীতিমতো খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ইনিংসেও মূল নায়ক তিনিই। তাঁর সেঞ্চুরিতেই ইংলিশদের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বল হাতে ঘূর্ণির মায়াজাল ছড়ান নাথান লাওন। আর এতেই পুড়ে ছারখার ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে টিম পেইনের দল।
অথচ শুরুটা বিবর্ণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে মাত্র ১২২ রানে আট উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। সেখান থেকে দারুণ সেঞ্চুরির মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করেন স্মিথ।
এরপর রোরি বার্নসের সেঞ্চুরিতে বড়সড় লিডই নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো ইংলিশদের ভোগান স্মিথ। তাঁর আরও একটি সেঞ্চুরিতে ৩৯৮ রানের বড় লক্ষ্যই দেয় অজিরা। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
আগের দিন বিনা উইকেটে ১৩ রান করে স্বাগতিক দল। এদিন স্কোরবোর্ডে আরও ছয় রান যোগ করতেই আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান বার্নসকে হারায় দলটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার জেসন রয়। কিন্তু লাওনের বলে বোল্ড হলে আবার চাপে পড়ে যায় দলটি। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিটিই ছিল ম্যাচের সর্বোচ্চ জুটি।
মূলত লাওনের ঘূর্ণিতে ধসে গেছে ইংলিশদের ব্যাটিং। অবশ্য কম দাপট দেখাননি প্যাট কামিন্সও। এই দুই বোলারের কাছেই আত্মসমর্পণ করে ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫২.৩ ওভারে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।
শেষ দিকে অবশ্য ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ক্রিস ওক্স। মইন আলির সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়েছিলেন, করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান। কিন্তু তাঁর এই লড়াই শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
ওক্স ছাড়া রয় ও রুট ২৮ রান করে করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৯ রান খরচায় ছয়টি উইকেট নিয়েছেন লাওন। ৩২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট শিকার কামিন্সের।
