loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা-বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান


ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা-বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা-বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য যথাযথ স্থানে ফেলতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন “যদি আপনি নির্ধারিত স্থান ব্যতীত কোরবানির পশুর বর্জ্য যত্রতত্র রাখেন, তবে এতে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং আপনি নিজ দায়িত্বে বাসা-বাড়ি ও এর আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “আপনার খেয়াল রাখতে হবে, আপনার ঈদের আনন্দ যেনো অন্যের জন্য বিষাদের কারণ না হয়ে ওঠে।’ রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, এবার ঈদ-উল-আযহা এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে, যখন দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।”

রাষ্ট্রপতির দেয়া এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- প্রবীণ রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত ছিলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অনেক জায়গায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ধনীব্যক্তিদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান, যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা ঈদ উৎসব থেকে বঞ্চিত না হন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, হযরত ইব্রাহিম (আ.), আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর প্রিয়পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার পদক্ষেপ নিয়ে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, আনুগত্য ও ত্যাগের এক অতুলনীয় উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

“কুরবানি (ত্যাগ) মানুষকে ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি ত্যাগ স্বীকার করতে শেখায়। রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেছেন, ধৈর্য ও ত্যাগের মানসিকতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমাদের ঈদুল আজহা থেকে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।”

ঈদ-উল-আজহা সকলকে ত্যাগ ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় স্ব-স্ব কাজে ও চিন্তাভাবনায় সহিষ্ণুতা অর্জন করা উচিত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “সুতরাং ঈদ-উল-আজহার আনন্দকে কেবল উদযাপনের বিষয়েই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আপনার ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং জাতীয় জীবনে আত্মত্যাগের পাঠকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করুন এবং সকলের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।”

পরে রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রিত অতিথিদের সুস্বাদু এবং ঐতিহ্যবাহী রেসিপি দিয়ে আপ্যায়ন করেন এবং বঙ্গভবনের দরবার হলে ঘুরে-ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ-সময় তিনি তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীগণ, উপদেষ্টাগণ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রধান, কূটনীতিকগণ, পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, উচ্চ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Loading...