প্রায় ১৭ বছরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক মিডফিল্ডার ও ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী তারকা ওয়েসলি স্নাইডার।
৩৫ বছর বয়সী এই ডাচ ফুটবলার সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছিলেন কাতারের ক্লাব আল-গারাফার হয়ে। গত জুলাই মাসে দলটির সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর চুক্তি নবায়ন করার বা নতুন কোনো ক্লাব খোঁজার সিদ্ধান্ত না নিয়ে সোমবার (১২ অগাস্ট) ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন স্নাইডার। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
জাতীয় দলের জার্সিতে স্নাইডার শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ২০১৮ সালে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে রেকর্ড ১৩৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৩১টি। ২০১০ সালে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেবার স্পেনের কাছে হেরে অবশ্য রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁদের। তবে আসরজুড়ে দুর্দান্ত খেলার প্রাপ্তি হিসেবে সিলভার বল (বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার) জিতে নিয়েছিলেন স্নাইডার।
স্বদেশী ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে ২০০২ সালে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন স্নাইডার। এরপর খেলেছেন স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, ইতালির ইন্টার মিলানের মতো পরাশক্তিদের হয়ে। ২০০৯-১০ মৌসুমে পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনিয়োর অধীনে ইন্টারের ট্রেবল (ইতালিয়ান সিরি আ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা ইতালিয়া) জেতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন তিনি।
আঘাতের কারণে ক্যারিয়ারের শেষ বছরগুলোতে বেশ ভুগতে হয়েছে স্নাইডারকে, আর এতে তাঁর নৈপুণ্য কমে গিয়েছিল বেশ। ফলে তুরস্কের গ্যালাতাসারাই, ফ্রান্সের নিস্ ও কাতারের গারাফার মতো ক্লাবেও তাঁকে খেলতে হয়েছে।