loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরে মোদীর আমন্ত্রণ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরে মোদীর আমন্ত্রণ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী অক্টোবরে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর মঙ্গলবার (২০ অগাস্ট) বিকেলে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেছেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর শুভেচ্ছাও মোদীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে। তিনি বলেন, এই সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে জয়শংকর বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে পরস্পরের দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রটিকে সহজ করার বিষয়ে ভারত বিশ্বাসী।জয়শংকর এ-সময় বাংলাদেশের জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে তাঁর দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে কার্যকর সহযোগিতার সম্ভবনা রয়েছে, যেহেতু, এর খরচও কম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারে। দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রসমূহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রেল, সড়ক ও আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক রুট ইতোমধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার সহযাগিতা বিদ্যমান রয়েছে। দু’টি দেশ নিজেদের অনেক সমস্যা-ই দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করেছে। এ-প্রসঙ্গে তিনি বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যকার স্থল ও সীমানা সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, স্থল ও সীমানা চুক্তি অনুযায়ী এর সমাধান বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সকল রাজনৈতিক দল তাঁদের সংসদে স্থল ও সীমানা চুক্তি-সংক্রান্ত বিলের প্রতি সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানায়।

ভারতকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দিল্লীতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে তিনদিনের সরকারি সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সোমবার রাতে বাংলাদেশে এসেছেন। গত ৩০ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রী সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পরে এটাই জয় শংকরের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

Loading...