এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনাল্সের প্রথম লেগে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ স্পোর্টস ক্লাবকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। উত্তর কোরিয়ার চ্যাম্পিয়ন এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ-এর চারজন ফুটবলার জাতীয় দলে খেলেন। গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে দলটি ১৭ গোল দিয়ে হজম করেছে মাত্র দু’টি। এমন এক দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ নয়, তা-ও আবার দুর্বল রক্ষণভাগ নিয়ে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবারের (২১ অগাস্ট) ম্যাচের আগে রক্ষণভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস। কেননা, দল ছেড়েছেন ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। নিষেধাজ্ঞার কারণে এদিন ছিলেন না মিশরের ডিফেন্ডার আলা নাস ইসা। ফলশ্রুতিতে দুর্বল রক্ষণভাগ দলকে ভুগিয়েছে বেশ। তবুও শেষ হাসিটা হেসেছে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপ হওয়া ক্লাবটিই। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এদিন ৩৩তম মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের পাসে দারুণ এক বুলেট শটে আবাহনীকে এগিয়ে এনে দেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা (১-০)। অবশ্য দুই মিনিট পরেই চো জোং হিয়োক’র নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ (১-১)। ৩৭তম মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের থ্রু পাস ধরে প্লেসিং শটে ব্যবধান ২-১ করেন আবাহনীর জীবন।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল দারুণ আগ্রাসী ফুটবল উপহার দিয়েছে, যদিও প্রথম সুযোগ কাজে লাগায় সফরকারীরাই। ৫৪তম মিনিটে আবাহনীর দুর্বল রক্ষণ ভেদ করে বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান উত্তর কোরিয়ার দলটির স্ট্রাইকার রিম চোল-মিন (২-২)।
তবে সমতায় ফিরতে দেরি করেনি আবাহনী। টুটুল হোসেন বাদশার লব ধরে তিন মিনিট পরেই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে আবাহনীকে লিড পাইয়ে দেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা (৩-২)।
পাঁচ মিনিট পরে ফের লক্ষ্যভেদ করেন চিজোবা (৪-২)। এবার তাঁকে বল বানিয়ে দেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কেরভেন্স বেলফোর্ট। অন্যদিকে ৭৭তম মিনিটে ডিফেন্ডার সং-রক পাকের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান কমিয়ে আনে এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভ (৪-৩)। যাহোক, শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক দলই।
আগামী ২৮ অগাস্ট দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি হবে উত্তর-কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল-সুং স্টেডিয়ামে।
