loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা


বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা

বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাস কি ১৯৯৭ এর আইসিসি ট্রফি জয় থেকে শুরু? এই ট্রফি জয়ের আগে কতটা চড়াই উৎরাই পার হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ এই অবস্থায় পৌছেছে তা হয়তো অনেকেরই অজানা।

১৯৭৭ সালের ৭ই জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের নব্যগঠিত ক্রিকেট দল ৩ দিনের প্রথম একটা টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো ক্লার্কের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সফরকারী ইংল্যান্ডের শক্তিশালী এমসিসি দলের বিরুদ্ধে। ওটাই ছিলো অলিখিত প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনুভূতি।

ঢাকায় ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে খেলার সুযোগ হয় শামীম কবির (অধিনায়ক), রকিবুল হাসান, মাঈনুল হক, সৈয়দ আশরাফুল হক, ওমর খালেদ রুমি, এ.এস.এম.ফারুক, শফিকুল হক হীরা, ইউসুফ রহমান বাবু, দৌলতউজ্জামান, দীপু রায় চৌধুরী ও নজরুল কাদের লিন্টু এই এগার জনের। এছাড়া ১৬ জনের দলে ছিলেন শাকিল কাশেম, এনায়েত হোসেন সিরাজ, খবির, নাজমুর নুর রবিন ও আহমেদ ইকবাল বাচ্চু।

একই ফ্রেমে এমসিসির বিরুদ্ধে খেলা বাংলাদেশ দলটি

বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) উদ্যোগে উদযাপন করা হয়েছে ঐতিহাসিক ‘বাংলাদেশ বনাম এমসিসি’ ম্যাচের ৪০ বছর পূর্তি। রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনের মিলনায়তনে ২৪শে ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশের হয়ে খেলা ক্রিকেটার ও সংগঠকদের সম্মানিত করা হয়।

ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন দিনের ঐ টেস্টে বাংলাদেশ দল শক্তিশালী এমসিসির বিপক্ষে ড্র করে। ব্যাট হাতে ইউসুফ রহমান বাবু (৭৮), শামীম কবির (৩০ ও ২৫), ওমর খালেদ রুমি (২৮ ও ৩২) অবদান রাখেন। বল হাতে নজরুল কাদের লিন্টু ৪ , দৌলতউজ্জামান ৩ ও দীপু রায় চৌধুরী ২ উইকেট পান। তিনদিনের ম্যাচের স্কোরলাইনটা অনেকটা এমন ছিলো, বাংলাদেশ ২৬৬/৯ (ডিঃ) এবং ১৫২/৬; এমসিসি ২৬৭/৬ (ডিঃ)। ড্র করা এই ম্যাচটি ছিলো ঐ বছরই বাংলাদেশ দলের আইসিসি সহযোগী সদস্য হওয়ার বুনিয়াদ। সফরটিতে বাংলাদেশ মূল দলের সাথে খেলা ছাড়াও এমসিসি দল নর্থ জোন, ইষ্ট জোন ও সাউথ জোনের ক্রিকেট দলের অংশ নেয় দুইদিনের তিনটি ম্যাচে। ম্যাচগুলো হয়েছিলো যথাক্রমে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও যশোরে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিতে ঐ ম্যাচের ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য। মূলত ঐ ম্যাচের খেলোয়াড় ও ঐ ম্যাচ সম্পর্কিত সবাইকে সম্মান জানাতেই বাংলাদেশের স্বীকৃত সমর্থক গোষ্ঠী বিসিএসএ এই আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো স্পোর্টস ফিউশন, বিসিএসএ ইউকে, ক্রিকেট৯৭ ও টোটাল প্লাস লিমিটেড।

বিসিএসএ’র এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ঐতিহাসিক ঐ ম্যাচের জন্য নির্বাচিত ১৬ সদস্যের ৮ সদস্য; তারা হলেন সৈয়দ আশরাফুল হক, ইউসুফ রহমান বাবু, এ এস এম ফারুক, শাকিল কাশেম, দীপু রায় চৌধুরী, এনায়েত হোসেন সিরাজ, শফিকুল হক হিরা ও মাইনুল হক। এছাড়া তৎকালীন ক্রীড়া সংগঠক রাইসউদ্দীন আহমেদ, প্রথিতযশা ক্রীড়া সাংবাদিক কামরুজ্জামান, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জালাল চৌধুরী, জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হয়ে ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কাজী সাবির। দর্শকসারিতে উপস্থিত ছিলো পঞ্চাশ জনের মতো বিসিএসএ’র সদস্য।

অতিথিদের বক্তব্য শেষে তাদের হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। অতিথিরা তাদের প্রতি এই সম্মান প্রদর্শন ও তাদের অবদানকে স্মরণ করার বিসিএসএ’র এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।

Loading...