loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

ইকুয়েডরকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব উৎরে গেলো সেনেগাল


ইকুয়েডরকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব উৎরে গেলো সেনেগাল

সেনেগাল গ্রুপ ‘এ’র শেষ রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলা নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্ব পার হলো আফ্রিকার দেশটি। এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা অন্য দল নেদারল্যান্ডস। একদিনে, নিজেদের শেষ ম্যাচে ডাচরা ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে।

গ্রুপ পর্বের তিন খেলা শেষে সাত পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। সমান-সংখ্যক ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোতে উঠলো সেনেগাল। চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে  ইকুয়েডর। তিন ম্যাচের সবকটি’তে হেরে খালি হাতে বিশ্বকাপ শেষ করলো স্বাগতিক কাতার।

প্রথম দুই ম্যাচ থেকে ইকুয়েডর চার ও সেনেগাল তিন পয়েন্ট পেয়েছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচ যে-দল জিতবে, তাঁরাই শেষ ষোলোতে খেলবে। যদি ড্র হয়, পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে ইকুয়েডর – এমন সমীকরণ নিয়ে দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইকুয়েডর ও সেনেগাল।

ম্যাচের প্রথম ১২ মিনিটে তিনটি আক্রমণ করে সেনেগাল। তিন মিনিটে মিডফিল্ডার ইদ্রিসাগুয়ের শট প্রতিপক্ষের বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। আট মিনিটে স্ট্রাইকার বুলয়ালে ডিয়া শট প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি।

১২ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর থেকে গোলবারের উপর দিয়ে মারেন স্ট্রাইকার ইলিমান এডিয়ায়ে।

এরপর ২৪ ও ২৫ মিনিটে দু’টি আক্রমণ করেও গোল পায়নি সেনেগাল। ৩৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডিফেন্ডার ইসমাইল জ্যাকবের নেওয়া মিডফিল্ডার পাথে সিসের হেড গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

সেনেগাল একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে ইকুয়েডরকে চাপে রেখেও ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোল পায়নি। অবশেষে ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলটি। দলের ডি বক্সের মধ্যে সেনেগালের স্ট্রাইকার ইসমাইলা সারকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। স্পট কিক থেকে ইসমাইলা সার গোল করেন (১-০)। এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ হয়।

মূলত: প্রথমার্ধে বল নিয়ে সেনেগালের বক্সের ভেতর ঢুকতেই পারেনি ইকুয়েডর। বল দখলেও বেশ পিছিয়ে ছিল দলটি।

বিরতি থেকে ফিরে প্রথম আক্রমণ করে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটের ঐ আক্রমণ থেকে গোলের দেখা পায়নি দলটি। এই অর্ধের শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিল ইকুয়েডর। এজন্য লিড ধরে রাখতে কিছুটা ডিফেন্সিভ হয়ে যায় সেনেগাল। যাহোক, আক্রমণ অব্যাহত রেখে ৬৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে ইকুয়েডর। ডিফেন্ডার ফেলিক্স তোরেসের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে সেনেগালের বক্সের ভেতর থেকে আলতো শটে গোল করেন মিডফিল্ডার মোয়েসেস কেইসেডো (১-১)।

অবশ্য, সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইকুয়েডর। ৭০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সেনেগাল। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে হওয়া আক্রমণে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর বল পেয়ে ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি গোল করলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল।

ম্যাচের বাকী সময়ে গোল পরিশোধের চেষ্টা করেও পারেনি ইকুয়েডর। রক্ষণাত্মক কৌশলে থেকে ইকুয়েডরের আক্রমণগুলো দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছেন সেনেগালের ডিফেন্ডার ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা।

ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে ম্যাচের শেষ সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। মিডফিল্ডার জেরেমি সারমিনেটোর ক্রস বক্সের ভেতর থেকে হেড নেন ডিফেন্ডার জ্যাক্সন পোরোজো। তাঁর হেড বারের পাশ দিয়ে চলে যায়।

২০০২ সালের পর আবারও গ্রুপ পর্ব পার করলো সেনেগাল। ঐ আসরেই প্রথম গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিল দেশটি।

Loading...