আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস। ‘সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি নিয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এ-বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য হলো – ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’।
বুধবার সকালে কাকরাইল রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী কবুতর উঠিয়ে আয়কর দিবসের উদ্বোধন করবেন। এ-সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত থাকবেন।
আয়কর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে রাজস্ব কর্মকর্তাগণ ছাড়াও লেখক, সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গণের জাতীয় পর্যায়ের সেলিব্রেটি, আয়কর আইনজীবি, সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। বরাবরের মতো এবারও সেরা করদাতাদের সম্মাননা জানাবে এনবিআর।
জাতীয় আয়কর দিবস-২০২২ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের রূপকল্পসমূহ বাস্তবায়নে, বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অপরিহার্য। করদাতাগণের সার্বিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে কর প্রদান, তাৎক্ষণিক ই-টিআইএন প্রদান, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা, এ-চালান, ই-টিডিএস সিস্টেম এবং কর তথ্য-সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কর বিভাগের সঙ্গে সম্মানিত করদাতা, অংশীজন ও নাগরিকদের মেলবন্ধনে দেশে আজ কর সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তিনি কর দিবস উপলক্ষে করদাতা ও আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা জানান এবং যাঁরা সেরা করদাতা সম্মাননা পাচ্ছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের সামগ্রিক কর-ব্যবস্থাপনাকে গণমুখী ও অধিকতর তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
