loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সুবিধাবঞ্চিতদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও জাগো ফাউন্ডেশন


সুবিধাবঞ্চিতদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও জাগো ফাউন্ডেশন

জাগো ফাউন্ডেশন ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ডিজিটাল ক্লাসরুম প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে। এই উদ্যোগের আওতায় রাজধানীর রায়েরবাজার ও বনানী এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, হবিগঞ্জ, টেকনাফ, দিনাজপুর, মাদারীপুর, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১০টি স্থানে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে, যার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।

জাগো ফাউন্ডেশনের অনলাইন লার্নিং সুবিধার পাশাপাশি গাইবান্ধা ও রংপুর জেলায় ইন-পারসন শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করতে এবং সুবিধা প্রদানে সাহায্য করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাগো ফাউন্ডেশনের ৪,১৯২ জন শিক্ষার্থীকে স্টেশনারি ও যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করেছে ব্যাংকটি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো স্থানে বসেই পড়ালেখা করতে পারবে, যা হবে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাস চৌধুরী বলেন, “সাম্প্রতিক মহামারির ফলে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও অধিক শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, প্রযুক্তিগত সুযোগের অভাবে সুবিধাবঞ্চিতদের উপর এই প্রভাব বেশি পড়েছে। জাগো’র ডিজিটাল ক্লাসরুম উদ্যোগে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা আরও সহজলভ্য করে তুলতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। উদ্ভাবনী ডিজিটাল সল্যুশন, অ্যাক্টিভ লার্নিংয়ে মনোনিবেশ, ফ্লেক্সিবল লার্নিং স্পেস ও ব্যক্তিগত শিক্ষাসামগ্রী ব্যবহার শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উপভোগ্য, কার্যকরী এবং গতিশীল করে তোলে।” তিনি আরও বলেন, “জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে তাঁদের ডিজিটাল ক্লাসরুম প্রজেক্টগুলো আরও প্রসারিত করতে ও তাদের সাথে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।”

জাগো ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কোরভি রাকশান্দ বলেন, “বর্তমানে শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই ডিজিটাল শিক্ষার সাথে পরিচিত হয়ে উঠছে এবং পূর্বের তুলনায় এখন এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি প্রতিটি শিশুই সুশিক্ষা লাভের যোগ্য। আমাদের এই প্রজেক্টটি সম্ভব হওয়ার পিছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ভূমিকা অনস্বীকার্য। টেলিভিশন, নোটবুকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী অনুদান দিয়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য জাগো ফাউন্ডেশন কৃতজ্ঞ।”

সুদীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দেশের অগ্রগতির দীর্ঘকালীন অংশীদার হিসেবে ভবিষ্যত বিবেচনায় শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং শ্রমিক পুনঃএকত্রীকরণের মাধ্যমে প্রত্যেকের ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছে ব্যাংকটি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সম্প্রতি স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং টেকসইতাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উদ্যোগও পরিচালনা করছে।

২০০৭ সালের এপ্রিলে জাগো ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে দেশের অন্যতম একটি সুশীল সমাজ সংস্থা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে। শিক্ষাসহ অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনসহ বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই জাগো’র মূল উদ্দেশ্য।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...