রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ওই ভোটের রায়ে নির্ধারণ হবে – কে হবেন তৃতীয় নগর-প্রধান।
মেয়র পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত আলোচনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সদ্যবিদায়ী মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লতিফুর রহমান।
রংপুর সিটি করপোরেশন ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগের দুই নির্বাচনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এবার নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬,৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন, নারী দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন এবং হিজড়া এক জন। গত নির্বাচনের চেয়ে এবার ৩০ হাজারের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। নির্বাচনে ২২৯ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৪,২৭৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রংপুর-৩ আসনের আওতাধীন এই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৮ সালেও ইভিএম-এ ভোট হয়েছিল।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনে মোট নয়জন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। বাকি ছয়জন হলেন – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন (গোলাপ ফুল), জাসদের শফিয়ার রহমান (মশাল), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান রাজু (দেয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)।