টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচিত হলেও টি-টোয়েন্টিও যে খারাপ খেলেন না, সেটি বিপিএল-এ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দেখিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) খেললেন আরেকটি দারুণ ইনিংস। ভালো ব্যাট করেছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ইয়াসির আলী এবং তামিম ইকবালও। তাতে আরও একটি দারুণ জয় পেয়েছে খুলনা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে সাত উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে খুলনা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৫৭ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে, চার বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ইয়াসির আলী রাব্বির দল।
চলতি আসরে টানা তিনটি পরাজয়ের পরে টানা দুই জয় পেলো খুলনা। অন্যদিকে, এটি টানা দ্বিতীয় পরাজয় চট্টগ্রামের। দুই দলেরই পয়েন্ট এখন চার।
এদিন টার্গেট তাড়ায় নেমে এদিন শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। আবারও দলকে হতাশ করেন মুনিম শাহরিয়ার, ফেরেন খালি হাতে। যাহােক, দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ম্যাচ-সেরা মাহমুদুল হাসান জয়। ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
তবে, খুলনার যাত্রায় একবার ধাক্কা দেন নিহাদুজ্জামান। তিনি ত্রয়োদশ ওভারে বল হাতে নিয়ে তামিমকে ফিরিয়ে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন। এক ওভার পর ফিরে আরেক সেট ব্যাটার জয়কেও তুলে নেন তিনি। ফলে, ম্যাচে ফিরেছিল চট্টগ্রাম। যাহােক, এরপর আজম খানকে নিয়ে ইয়াসির আলী বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন জয়। ৪৪ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস গড়েন এই ব্যাটার। ৩৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রান করেন তামিম। ১৭ বলে দুইটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির।
৩২ রানে দুইটি উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামের নিহাদ।
এর আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। দলীয় আট রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্স ও'ডয়েড। এরপর আফিফ আহমেদকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন আরেক ওপেনার উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। উসমানকে নাসুমের ক্যাচে পরিণত করে এই জুটি ভাঙেন আমাদ বাট।
এরপর, দাসউইস রাসুলিকে নিয়ে হাল ধরেন আফিফ। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন তাঁরা। এই জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ। আফিফকে ফেলে দেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আর এই জুটি ভাঙতেই ওয়াহাবের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৪২ রান যোগ করতে সাতটি উইকেট হারান তাঁরা।
সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন উসমান। ৩১ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন এই ওপেনার। ৩১ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন আফিফ। এছাড়া, রাসুলির ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান (২৬ বলে)। শেষ দিকে, নয় বলে দুইটি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন ফরহাদ রেজা।
খুলনার পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় চার উইকেট শিকার করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। দুই উইকেট শিকার সাইফউদ্দিনের।