অপেশাদার ফুটবলারে ভরা দল; খেলে ফরাসি লিগের ষষ্ঠ স্তরে। এমন এক দলের বিপক্ষে প্রায় পুরো শক্তির দলই নামিয়ে দিলেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) কোচ ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ে। এরপর যা হওয়ার কথা, তা-ই হয়েছে। পেইস দি কাসেলের বিপক্ষে পাঁচ-পাঁচ বার বল জালে পাঠিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। গোল করেছেন নেইমারও। আর এর ফলে, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ফ্রেঞ্চ কাপের রাউন্ড অফ ৩২’এর ম্যাচটি পিএসজি জিতেছে ৭-০ ব্যবধানে।
ফ্রান্সের নর্ড বিভাগের কয়েকটি ছোট ক্লাব অঙ্গীভূত হয়ে পেইস দি কাসেল পথচলা শুরু করে ২০১৮ সালে। ফরাসি ফুটবলের ষষ্ঠ স্তর রিজিওনাল ওয়ান-এ খেলা ক্লাবটি ফ্রেঞ্চ কাপের রাউন্ড অফ ৬৪-এ চতুর্থ স্তরের দল ওয়াসকুয়েহালকে টাইব্রেকারে হারিয়ে পিএসজি’র প্রতিপক্ষ হয়েছিল।
কাসেলের নিজস্ব বড় মাঠ নেই। ম্যাচ আয়োজন করা হয় লিগ ওয়ান-এর ক্লাব লাস-এর বোলায়ের্ট-দেলেলিস স্টেডিয়ামে। পিএসজি কোচ লিওনেল মেসিকে বিশ্রামে রেখে প্রায় পুরো শক্তির দল মাঠে নামিয়ে দেন। যাহোক, এই দলের বিপক্ষেই প্রথম গোল পেতে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর আগে ট্যাকল করে হলুদ কার্ডও দেখে ফেলেন নেইমার।
২৯তম মিনিটে পিএসজিকে প্রথম গোল এনে দেন এমবাপে। নুনো মেন্ডেজের ক্রস থেকে পাওয়া বল সহজেই জালে জড়িয়ে দেন তিনি। চার মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। পরপর দুই গোল হজমের পরে রক্ষণে এলোমেলো হয়ে পড়ে কাসেল। ৩৫ ও ৪০তম মিনিটে আরও দুই গোল করে হ্যাটট্রিক করেন এমবাপে।
এ-নিয়ে দুই মাসে দুটি হ্যাটট্রিক করলেন ২৪ বছর বয়সী এই ফরাসি স্ট্রাইকার। আগের হ্যাটট্রিকটি করেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
প্রথমার্ধে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার কমায়নি প্যারিসের ক্লাবটি। ৫৬ ও ৭৯তম মিনিটে আরও দুই গোল করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান এমবাপে। কেননা, পিএসজি’র ইতিহাসে এই প্রথম কেউ পাঁচ গোল করলেন।
এক ম্যাচে পাঁচ গোল করে পিএসজি ইতিহাসে আরও একটি জায়গায়ও এগিয়ে রইলেন এমবাপে। ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০০ গোল করেছেন এডিনসন কাভানি। সেই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডকে ছুঁতে আর মাত্র চার গোল দরকার এই ফরাসি তারকার।
দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের দুই গোলের মাঝে ৬০তম মিনিটে আরেকটি গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কার্লোস সোলের।
অবশ্য, বড় জয়ের পরে কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ে সহজ প্রতিপক্ষ পাচ্ছে না পিএসজি। শেষ ষোলোয় এমবাপেদের প্রতিপক্ষ অলিম্পিক মার্শেই।
