loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

শোয়েবের ব্যাটিংয়ের জবাব দিতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স


শোয়েবের ব্যাটিংয়ের জবাব দিতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ে পরে পাকিস্তানি শোয়েব মালিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রংপুর ৫৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। ছয় খেলায় তিন জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠলো রংপুর। সাত ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই রইলো চট্টগ্রাম। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৭৯ রান করে রংপুর। ৪৫ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন মালিক। জবাবে, অধিনায়ক শুভাগত হোমের ৩১ বলে ৫২ রান সত্ত্বেও ১৬.৩ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।

১৮০ রান তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে তাঁদের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার উসমান খান এক বাউন্ডারি মেরেই ফিরে যান। রাকিবুল হাসানের বলে কট বিহাইন্ডের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি।

অভিষিক্ত তৌফিক খান তুষার ক্রিজে এসে নড়বড়ে উপস্থিতি থামান চার বল খেলে। পাকিস্তানি খাওয়াজা নাফিও পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি। রাকিবুলের বলে আউট হয়েছেন অদ্ভুতভাবে। খানিকটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। ফলো থ্রোর একটা পর্যায় পর্যন্তও পা ভেতরে ছিল তাঁর। কিপার নুরুল হাসান সোহান বল ধরে অপেক্ষা করছিলেন, শরীরের ভারসাম্য রাখতে পা উঠে গেলে তখন বেল ফেলে দেন সোহান।

১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যাওয়া চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শুভাগতের ঝড়ে। রাকিবুলকে ছক্কা মেরে শুরুর পর আজমতুল্লাহকেও মারেন চান। পরে, হারিস রউফের এক ওভারে তিন চার মেরে উত্তাপ ছড়ান তিনি; হাসান  মাহমুদ, মোহাম্মদ নাওয়াজের বল পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে।

চতুর্থ উইকেটে শুভাগত-দার্বিশ রাসুলের জুটিতে আসে ৪০ বলে ৬৬। যাতে ২৪ বলে ৪৫ রানই শুভাগতর। এই জুটিটা ম্যাচকে বিপজ্জনক দিকে নেওয়ার আগেই সাফল্য পেয়ে যায় রংপুর। হারিসের শিকার হয়ে বিদায় নেন রাসুলি। ১৭ বলে ২১ করে থামেন তিনি।

অসুস্থতার কারণে আফিফ হোসেন ব্যাট করতে না নামায় ছয়ে পাঠানো হয় জিয়াউর রহমানকে। নেমেই ঝড় তোলেন তিনি। তাঁর উপস্থিতি অবশ্য ছিল সীমিত। ১২ বলে এক চার, তিন ছয়ে ২৪ করে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।

২৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করে শুভাগতও বিদায় নিলে ম্যাচে আর থাকতে পারেনি চট্টগ্রাম। শেষ দিকে তফাৎ গড়ে দেওয়ার মতো তাঁদের দলে আর কোনো ব্যাটার ছিলেন না। আফিফের অভাব টের পেতে থাকে দলটি।

টস জিতে বোলিং নিয়ে ইনিংসের একদম প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদীকে তুলে নিয়েছিলেন শুভাগত হোম। তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও বেশিক্ষণ টেকেননি। এক রানে সহজ ক্যাচ তুলে জীবন পেয়ে তিনি থামেন ছয় রান করে।

তবে, শোয়েব মালিকের সঙ্গে মিলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন নাঈম শেখ। বেশ ভালো কয়েকটি শটে ইনিংস টানতে থাকলেও তাঁর ইনিংস বড় হয়নি। ২৯ বলে পাঁচ চার, এক ছক্কায় ভিজয়াকান্ত ভিয়াশকান্তের লেগ স্পিন ক্যাচ তুলে ফেরেন নাঈম।

৪৭ রানে তিন উইকেট হারানো রংপুর এরপর ঘুরে দাঁড়ায় শোয়েব মালিক ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের জুটিতে। চতুর্থ উইকেটে প্রতি আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের উপর চাপ সরিয়ে ভালো অবস্থান চলে যান তাঁরা। বিশেষ করে, অভিজ্ঞ মালিকের ব্যাট ছিল দুর্বার। তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি স্পিনে সোজা ব্যাটে তিনি মেরেছেন চার-ছক্কা। ছক্কা পিটিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর পেস বলেও।

চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে তাঁরা যোগ করেন ১০৫ রান। ২৪ বলে ৪২ করে মেহেদী হাসান রানের বলে ওমরজাইয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। অবশ্য, মালিক আর আউট হননি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে পাইয়ে দেন চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

Loading...