loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

এক ম্যাচ পরই জয়ের ধারায় সিলেট


এক ম্যাচ পরই জয়ের ধারায় সিলেট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচ পরেই জয়ের ধারায় ফিরলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ-সেঞ্চুরির পরে মুশফিকুর রহিম-জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে সপ্তম জয় পেয়ে ফের টেবিলের শীর্ষে মাশরাফির মর্তুজার সিলেট। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সিলেট সাত উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। ম্যাচ-সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৪ বলে ৬০, মুশফিকুর রহিম ২৬ বলে অপরাজিত ৪১ ও বার্ল ১৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন। দলের এই জয়ে রঙিন হলো বিপিএল-এ মাশরাফির শততম ম্যাচ। নয় ম্যাচে সাত জয় ও দুই পরাজয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো সিলেট এবং প্লে-অফের দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছে গেলো। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নয় ম্যাচে দুই জয় ও সাত পরাজয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রইলো।

বিপিএল-এ তৃতীয় জয়ের অপেক্ষায় থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পুঁজি খারাপ ছিল না (১৭৪)। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত, রায়ান বার্ল ও মুশফিকুর রহিমদের সামনে সেটা খুব ছোট টার্গেট হয়ে এলো। তাঁদের ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে সাত উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স; তা-ও আবার ১২ বল হাতে রেখেই। ফলে, দলটি ফরচুন বরিশালকে টপকে উঠে গেলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

এদিন রান তাড়ায় নেমে সিলেটকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। নবম ওভারে ৬৩ রানের জুটি ভাঙে ১৮ বলে ১৫ রান করা তৌহিদ হৃদয়ের বিদায়ে। অবশ্য, থামেননি শান্ত। ৩৬ বলে করেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। তাঁর সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও আগ্রাসী ব্যাট করছিলেন। উপভোগ্য ব্যাটিং করছিলেন দু’জনই। জুটি ভাঙে নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ে। নিহাদুজ্জামানের বলে চট্টগ্রামের উইকেটকিপার ইরফান শুকুর তাঁকে স্টাম্পড করেন।

আউট হওয়ার আগে শান্ত খেলেছেন ৪৪ বলে ছয় চার দুই ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস। মুশফিকের সঙ্গী হয়ে রায়ান বার্ল ব্যাটে ঝড় তোলেন। মাত্র ১৬ বলে চার বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। যাহােক, দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি খেলেন ২৬ বলে পাঁচ চার এক ছক্কায় ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস।

জাকির হাসান অপরাজিত ছিলেন পাঁচ বলে ১২ রানে। ১২ বল এবং সাত উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ১৭৪ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাঁদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম বলেই উসমান খানকে (০) ফেরান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অসাধারণ ডাইভে ক্যাচ নেন জাকির হাসান। ৯৭ রানের মধ্যে চট্টগ্রামের পাঁচ ব্যাটার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। অবশ্য, এক প্রান্ত আগলে ছিলেন ওপেনার মেহেদি মারুফ। ৩৬ বলে ফিফটি করার পরে তাঁর ইনিংস থামে ৫২ রানে। ৪০ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং দুইটি ছক্কা।

মোহাম্মদ আমিরের বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে আফিফ হোসেন খেলেছেন ২৭ বলে পাঁচ চারে ৩৪ রানের ইনিংস। এর পরই পাঁচে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। ২৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন। অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে তিন চার তিন ছক্কায় ৫৪ রানে। 

শেষদিকে, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (১২ বলে ১৫*) তাঁকে বেশ ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বেশ মার খেয়েছেন তানজিম সাকিব। তিনি  তিন ওভারে দিয়েছেন ৫২ রান।

Loading...