loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে

  • সিটিকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে রিয়াল

  • আর্সেনালকে বিদায় করে সেমিতে বায়ার্ন

  • ‘রাজকুমার’ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার ৭৫ থিয়েটারে

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

সৌম্য-মিঠুনের নৈপুণ্যে বরিশালকে হারালো ঢাকা


সৌম্য-মিঠুনের নৈপুণ্যে বরিশালকে হারালো ঢাকা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনিং ব্যাটিংয়ের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণ করলেন ম্যাচ-সেরা মোহাম্মদ মিঠুন। এবারের বিপিএল-এ তিনি তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছেন মাত্র একবার। বেশির ভাগ ইনিংসেই চার কিংবা তারও পরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন। যাহােক, মঙ্গলবার চলতি আসরে প্রথমবারের মতো সূচনা করতে নেমেই ফিফটির দেখা পেলেন। এবার এটিই তাঁর প্রথম অর্ধশত রান। ৩৬ বল খেলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন তিনি। ২২ বলে ৩৭ রান করে তাঁকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন সৌম্য সরকার। দু’জনের যুগলবন্দীতে রান তাড়ার প্রথম ১০ ওভারেই বেশ এগিয়ে যায় ঢাকা। পরে, ফর্মে থাকা ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন নাসির। ফলে, ঢাকা ১৮.৪ ওভার ব্যাট করেই জিতে যায়। বরিশালের সাকিব আল হাসান ও সানজামুল ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন। মৌসুমে এটি দলটির তৃতীয় জয়; অন্যদিকে, বরিশালের তৃতীয় পরাজয়। এই জয়ে খাতা-কলমে সম্ভাবনা টিকে থাকলো ঢাকার, প্লে-অফ নিশ্চিত করার অপেক্ষা বাড়লো আরেকটু। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সৌম্য সরকার এক ম্যাচ আগেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; মিরপুরে করেছিলেন দারুণ ফিফটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) আবারও তিনি ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। সঙ্গী হিসেবে পেলেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে  অন্যতম ফেবারিট ফরচুন বরিশালকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করেছে দিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ ম্যাচে এটা দলটির তৃতীয় জয়।

এদিন ১৫৭ রান তাড়ায় নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন সৌম্য ও মিঠুন। পাওয়ার প্লেতে এসেছে ৫৫ রান। করিম জানাতের করা অষ্টম ওভারে সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে ৭৪ রানের ওপেনিং জুটি। ২২ বলে চার বাউন্ডারি এবং দুই ওভার বাউন্ডারিতে ৩৭ রান করেন সৌম্য। অন্যদিকে, মিঠুন ৩৩ বলে ফিফটি করেন। সানজামুলের বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ৩৬ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস।

তিনে নেমে আব্দুল্লাহ আল মামুন ২১ বলে ২৬ রান করেছেন। এরপর, অধিনায়ক নাসির হোসেন ও অ্যালেক্স ব্লেকের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ঢাকা। সাকিবের করা অষ্টাদশ ওভারে ব্লেক (১৫) আর আরিফুল হক (১) রানে ফিরলে ম্যাচে তৈরি হয় নাটকীয়তা। ঢাকা তখনও জয় থেকে চার রান দূরে। শেষ পর্যন্ত, নাসিরের ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রানে সাত বল এবং পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ঢাকা।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেটে ১৫৬ রান করে ফরচুন বরিশাল। তাঁদের শুরুটাও হয়েছিল ভালোই; ৪২ রানের ওপেনিং জুটি। ১৯ বলে ১৫ রান করা সাইফ হাসানের বিদায়েই সাময়িক ধস নামে বরিশালের ইনিংসে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৫), ইব্রাহিম জাদ্রান (২), ইফতিখার আহমেদ (১০) দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বরিশাল। সেখান থেকে দলকে পথ দেখান এনানুল হক বিজয় ও মাহমুদউল্লাহ। ৩৫ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করেছেন বিজয়। অন্যদিকে, মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আরও তেজোদীপ্ত। তাঁর ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুইটি ছক্কার মার। 

শেষদিকে, করিম জানাত পাঁচ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন। 

২২ রানে দুই উইকেট শিকার করছেন আমির হামজা। বাকি পাঁচ বোলার পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

Loading...