loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

আত্মঘাতী গোলে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ


আত্মঘাতী গোলে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ দল মেয়েদের সাফ-এর অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে। ঘাম ঝরিয়েই জিততে হয়েছে রুমা আক্তার, জয়নব বিবিদের। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য, বাংলাদেশের কেউ গোল করেনি; ভারতের ডিফেন্ডার আখিলা রাজনের আত্মঘাতী গোলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না – জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকারদের পরে শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপারাও আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছিলেন গোল করে। কিন্তু, এর পরের প্রজন্ম থেকে প্রয়ােজনের সময় গোলের দেখা মিলছে না। প্রতিপক্ষ ভুটানের মতো দুর্বল হলেই শুধু গোল উৎসবে মেতে ওঠে এই মেয়েরা। যেমন, গত নভেম্বরে তিন দলের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ-এ ১৮ গোলের ১৭টিই দিয়েছিল ভুটানের বিপক্ষে। সেই মেয়েরাই এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছে। কিন্তু, বড় দলের বিপক্ষে যখন গোলের প্রয়োজন, সেই মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারছে না। এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৮-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরাজিত হয় ৩-০ গোলে।

ভারতের বিপক্ষে যেন গোল মিসের মহড়ায় নেমেছিল মোসাম্মত সাগরিকা, সুরভী আকন্দরা। রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে এদিন চারজন ফুটবলারকে বাদ দিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কানন বাহাদুর, রিতু আক্তার, থুইনু মারমা ও তৃষ্ণা রানীর বদলে একাদশে এসেছে পূজা দাস, মোসাম্মত সাগরিকা, নাদিয়া আক্তার ও সুলতানা আক্তার।

একাদশে বদল এলেও কোচের পরিকল্পনামতো খেলতে পারছে না মেয়েরা। বিশেষ করে, মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ নেই ফুটবলারদের। বক্সে বল জোগানদাতারও যেন অভাব। আর অ্যাটাকিং এন্ডে গিয়ে বল নষ্ট করা তো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

অথচ, ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে পূজা দাসের চমৎকার আক্রমণ নষ্ট হয় দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা পূজার ক্রসে সুরভী আকন্দ পা ছোঁয়াতেই পারলেন না; পাশে থাকা সুলতানা আক্তারও বল পাঠালেন বাইরে।

প্রথমার্ধে বলার মতো আর কোনো আক্রমণই ছিল না বাংলাদেশের। 

দ্বিতীয়ার্ধে সুলতানা আক্তারের বদলে কোচ গোলাম রব্বানী মাঠে নামান তৃষ্ণা রানীকে। ৬৮ মিনিটে সাগরিকার বদলে নামেন থুইনু মারমা। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের আক্রমণের ধার বেড়েছে।

৭৪ মিনিটে গোলের মুখে দেখেছে বাংলাদেশ। প্রথমে নাদিয়া আক্তার থ্রো ইনে পূজার কাছ থেকে বল রিসিভ করে। এরপর সেই বলেই দুর্দান্ত এক ক্রস করেছে বাঁ প্রান্ত দিয়ে। ভারতের ডিফেন্ডার আখিলা রাজন হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল পাঠিয়ে দেয় নিজেদের জালে। 

৮৯ মিনিটে শিবানী রানী বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেঙে বক্সে প্রবেশ করে। যাহোক, গোলরক্ষক সংগীতা রানী দাস অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেয় দলকে।

তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয়ে ছয় পয়েন্ট বাংলাদেশের। দুই ম্যাচে দুই জয়ে রাশিয়ার পয়েন্ট ছয়। ভারতও খেলেছে দুই ম্যাচ। নেপালের বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের কাছে হেরে তিন পয়েন্ট ভারতের।

আগামী ২৮  মার্চ বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল।

Loading...