ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম প্রয়াণ দিবস। কোরানখানি, অপরাজেয় বাংলায় ছাত্র-শিক্ষক জমায়েত হয়ে সমাধিস্থলে গমন, পুস্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
মঙ্গলবার (২৭ অগাস্ট) সকাল সোয়া সাতটার দিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে কবির সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ-সময় একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতীয় কবি নজরুল ছিলেন সাম্য, অসাম্প্রদায়িক, মানবতার কবি। তিনি ছিলেন আমাদের জাগরণের কবি। তাঁর এই মূল্যবোধগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল কবির সাহিত্যকর্মের মধ্যে - যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। এ-বিষয়টি অনুধাবন করেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনেছিলেন বলে উপাচার্য মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে নজরুলকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এখন তাঁর সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও হানাহানি থেকে মুক্তি পাবে বিশ্ব।
এ-সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এনামুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল ও প্রক্টর গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
বাংলা ভাষার কাব্যপ্রেমীদের কাছে নজরুল বিদ্রোহের, প্রেমের ও সাম্যের কবি। ১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট (১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নজরুলকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই ফুল দিয়ে কবিকে স্মরণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।