loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

টাইগারদের আবারও লজ্জা দিলো আফগানিস্তান


টাইগারদের আবারও লজ্জা দিলো আফগানিস্তান

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ১৬৪/৬, ২০ ওভার (নবি ৮৪*, আসগর ৪০, সাইফউদ্দিন ৪/৩৩)
বাংলাদেশ: ১৩৯/১০, ১৯.৪ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৪৪, সাব্বির ২৪, মুজিব ৪/১৫)
ফলাফল: আফগানিস্তান ২৫ রানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মোহাম্মদ নবি (আফগানিস্তান)

এবারও আফগানিস্তানের স্পিন-আক্রমণ সামলাতে পারলো না বাংলাদেশ দল। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ে খেলার শুরুতে যে-ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা একেবারেই বিলীন হলো। প্রথমে মোহাম্মদ নবির ঝড়ে আফগানরা পেয়েছে লড়াই করার স্কোর, এরপর মুজিব-উর-রহমান ও রশিদ খানের স্পিনেই কাবু হয়ে গেছে টাইগাররা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের কাছে হারের ধারা থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করা আফগানদের ১৬৪ রানের জবাবে ১৩৯  রানেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের দল। অন্যদিকে টানা দুই জয়ে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো আফগানিস্তান।

এদিন ৫৪ বলে ৮৪ রান করে আফগানদের হিরো নবি; ১৫ রানে চার উইকেট নিয়ে আরেক নায়ক মুজিব।

লক্ষ্যটা খুব বড় নয়, বেশ ভালো উইকেটে ১৬৫ রান নাগালের মধ্যেই থাকার কথা। কিন্তু মুজিবই শুরুতে কাবু করে দেয় বাংলাদেশকে। তাঁর অফ স্পিন সামলাতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নামেন মুশফিকুর রহিম। 

তবে, রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিটন। পেসার ফরিদ মালিককে দারুণ কাভার ড্রাইভে শুরু করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু পরের বলেই খেলতে গেলেন স্কুপ শট, নিখুঁত নিশানার বল ভেঙ্গে দেয় তাঁর স্টাম্প। ১১ রানেই বিদায় দুই ওপেনারের।

সাকিব তিনে নেমে ছিলেন ইতিবাচক। কিন্তু থিতু হওয়ার আগেই সব গড়বড়। মুজিব-জুজুতে কাবু হয়ে তাঁরও ক্যাচ যায় মিড অনে রশিদ খানের হাতে। ওপেনিং থেকে পাঁচে নেমে সৌম্য সরকারের দিন ফেরাতে পারেননি অধিনায়ক। প্রথম বলেই মুজিবের স্পিনে কাবু হয়ে এলবিডব্লিও হয়ে ফেরত যান তিনিও।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩২ রানে চার উইকেট খুইয়ে দল তখন নড়বড়ে। পঞ্চম উইকেটে সাব্বির রহমানকে পেয়ে চারে নামা মাহমুদউল্লাহ পরিস্থিতি সামলে এগিয়ে চলছিলেন। চাপ সামলাতে দুজনেই শুরুতে খেলেন ধীর লয়ে। তেমন দাপট না দেখাতে না পারলেও জুটি জমছিল এই দু’জনের। তবে বেড়ে যায় আস্কিং রানরেট। তা পুষিয়ে দিতে আগ্রাসী হতে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। মাঝে মাঝে পাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। ওভারপ্রতি দশের উপর রান নেওয়ার চাহিদা দেখে ভুল হয়ে যায় তাঁর। মিডিয়াম পেসার গুলবদিন নাইবকে উড়াতে গিয়ে থামেন ৩৯ বলে ৪৪ রান করে। এতে ভাঙে ৫০ বলে ৫৮ রানের জুটি।

থিতু হওয়া সাব্বির একটু পরেই পথ ধরেন সঙ্গীর। মুজিবকে পেটাতে গিয়ে ২৭ বল খরচ করে ২৪ রানে ক্যাচ দিয়েছেন মিড উইকেটে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ জুটিতে দলকে জেতানো আফিফ হোসেন এদিন ব্যাটিংয়ে আসেন সাতে। আটে পান আগের ম্যাচে সাফল্যের সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেনকে। কিন্তু ততক্ষণে চ্যালেঞ্জটা হয়ে গেছে আরও কঠিন। এবার আর হয়নি তাঁদের। দু’জনকেই থামতে হয়েছে অল্প রানে। বাকি সময় ম্যাচে ছিল না কোনো উত্তাপ।

এদিন টস হেরে বোলিং পেয়ে ইনিংসের প্রথম বলেই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন স্টাম্প উড়িয়ে দেন গুরবাজ রাহমানুল্লাহর। পরের ওভারে সাকিবকে মারতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে ফেরেন বিপজ্জনক হযরতুল্লাহ জাজাই।

তেতে থাকা সাইফুদ্দিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে আগ্রাসী নাজিব তারাকাইকেও ফিরিয়ে দেন। আগের দিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তোলপাড় করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও খেলতে দেয়নি বাংলাদেশ। সাকিবের বলে ছক্কা মারার নেশায় সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন তিনি।

পরের স্পেলে ফিরে সাইফুদ্দিন স্টাম্প ভাঙেন গুলবদিন নাঈবেরও। পরে একবার জীবন পেয়ে ৪০ করা আসগর আফগানের উইকেটও নেন তিনি। তবে থামানো যায়নি মোহাম্মদ নবিকে। ছক্কার ঝড়ে নবিই দলকে নিয়ে যান চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। শেষ পাঁচ ওভারে ৫৫ রান যোগ করেন নবি। মোস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারে মাত্র তিন রান না এলে স্কোর আরও বড় হতো।

৫৪ বলের ইনিংসে তিন বাউন্ডারির সঙ্গে সাতটি বিশাল ছক্কা মেরে ৮৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন নবি।

Loading...