loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

জিতেই বিদায় নিলেন মাসাকাদজা


জিতেই বিদায় নিলেন মাসাকাদজা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১১৫/৮ (গুরবাজ ৬১, জাজাই ৩১, জার্ভিস ১/২৭, উইলিয়ামস ১/৩৪, এমপফু ৪/৩০, মুটম্বোডজি ২/১৮)
জিম্বাবুয়ে: ১৯.৩ ওভারে ১৫৬/৩ (মাসাকাদজা ৭১, চাকাভা ৩৯; মুজিব ২/২৮, দৌলত ১/২৭)
ফলাফল: জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: ক্রিস্টোফার এমপফু (জিম্বাবুয়ে)

সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। আইসিসি থেকে তাঁরা নিষিদ্ধ অন্যদিকে, আগের ম্যাচেই টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড সমৃদ্ধ করেছে আফগানিস্তান। দুর্দান্ত খেলে প্রায় আকাশেই উড়ছে দলটি। এমন পরিস্থিতিতে এদিন বেশ পিছিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে দলটি। আফগানদের সাত উইকেটে হারিয়েছে তাঁরা। আর এই জয়ের মূলনায়ক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচের মধ্য‌দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। নিজের বিদায়ী ম্যাচকে দারুণ নৈপুণ্য দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং নৈপুণ্যেই শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) শক্তিশালী আফগানিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ফলে টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচ সান্তনার জয় দিয়ে শেষ করলো জিম্বাবুয়ে। 

লিগ পর্বে চার ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয়ের স্বাদ পেয়েছে মাসাকাদজার দল। পাশাপাশি টি-২০ ক্রিকেটে এই প্রথমবার আফগানিস্তানকে হারালো জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। প্রথমে পর্বের মতো বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর লক্ষ্য ছিল আফগানদের। লিগের প্রথম পর্বে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে ১৯৭ রান করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু এবার আর রানের পাহাড় গড়তে পারেনি রশিদের দল। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-এ ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে আফগানিস্তান।

অবশ্য দুই ওপেনার রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাই উড়ন্ত সূচনাই এনে দিয়েছিলেন দলকে। ৯.৩ ওভারে ৮৩ রান যোগ করেন তাঁরা। এতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় আফগানরা। তবে চতুর্দশ ওভারে দলীয় ১১৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার বিদায় নিলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বেশি রান পায়নি আফগানিস্তান।

গুরবাজ চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৭ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন। আরেক ওপেনার জাজাই তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ বলে ৩১ ও তিন নম্বরে নামা শফিকুল্লাহ ১৩ বলে ১৬ রান করেন। এছাড়া গুলবাদিন নাইব সাত বলে ১০ ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফজল নিয়াজাই ১৫ বলে ১২ রান করেছেন। এঁরা ছাড়া দলের আর কোনো ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। 

জিম্বাবুয়ের ক্রিস এমপোফু ৩০ রানে চারটি ও টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি ১৮ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন।

১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে দলের ইনিংস শুরু করেই বিধ্বংসী রূপ দেখান মাসাকাদজা। ইনিংসের প্রথম বলে চার ও দ্বিতীয় ছক্কা মারেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং-এ দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রান পায় জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলর ১৭ বলে ১৯ রান করে থামেন।

এরপর রেজিস চাকাভাকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে অনায়াসে রান যোগ করতে থাকেন মাসাকাদজা। তাতে ১২ ওভারেই শতরানে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। এরমধ্যে ৬৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে একাদশ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে নেন মাসাকাদজা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির পরেও নিজের ইনিংস বড় করতে থাকেন মাসাকাদজা। এতে জিম্বাবুয়ের জয় অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। 

ত্রয়োদশ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১০ রানে আউট হন মাসাকাদজা। আফগানিস্তানের ডান হাতি পেসার দৌলত জাদরানের শিকার হওয়ার আগে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে চাকাভার সাথে ৪৭ বলে ৭০ রান যোগ করেন মাসাকাদজা। 

এরপর চাকাভাও ৩২ বলে একটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন; তখন জয় থেকে ১৭ রান দূরে দাড়িয়ে জিম্বাবুয়ে। তিন বল হাতে রেখে দলের প্রয়োজনীয় ১৭ রান সংগ্রহ করেছেন সিন উইলিয়ামস ও মুটম্বোডজি। 

উইলিয়ামস ২৪ বলে অপরাজিত ২১ করেন, মুটম্বোডজি এক রানে অপরাজিত ছিলেন। 

আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান ২৮ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন।

Loading...