loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বিইউতে ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সরকারি নীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার


বিইউতে ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সরকারি নীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “বাংলাদেশে দারিদ্র্য নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এখন আমাদের ধনীদের নিয়ে গবেষণা করার সময় হয়েছে। ধনীদের নিয়ে গবেষণা করা একটু কঠিনই, কেননা আমাদের দেশের ধনিক শ্রেণি আলাদিনের চেরাগের কল্যাণে রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধনিক শ্রেণির সাথে আমাদের দেশের ধনিক শ্রেণির তুলনা করা যেতে পারে; কেননা তাঁদের জীবনযাত্রার যে-স্টাইল, আমাদের ধনীদের মাঝেও একই প্রবণতা লক্ষ্যণীয়।”

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (বিইউ)’র স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সরকারি নীতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বিইউ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরীফ। আলোচনায় অংশ নেন বিইউ’র ইংরেজি বিভাগের প্রধান শেখ আলাউদ্দিন, আইন বিভাগের প্রধান দেওয়ান মোঃ আল-আমিন ও স্থাপত্য বিভাগের প্রধান মৌসুমী আহমেদ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

মূল প্রবন্ধে ড. বিনায়ক সেন বলেন, বাংলাদেশে এখনও অবাধ বাণ্যিজ্য গড়ে উঠেনি। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমেছে। ১৯৯১ সালে যেখানে এই হার ছিল শতকরা ৪৪ ভাগ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ১৫ ভাগে। আবার দারিদ্র্য থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসছে তাঁরা সবাই কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে পড়ছেন না। ফলে দেশে কোনো দুর্যোগ হলে বা আকস্মিক বিপর্যয় দেখা দিলে এঁদের জীবনযাত্রা আবার নিচে নেমে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আয়-বৈষম্যের দিক থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ আমেরিকার সাথে সমান্তরালভাবে অবস্থান করছে।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা। দরিদ্র্য শ্রেণির মানুষের আয়ের শতকরা তিন ভাগ আসে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে। এই কর্মসূচি যদি প্রকৃত টার্গেট গ্রুপের কাছে যেত তাহলে আমাদের দেশের দারিদ্র্য কমে আসতো শতকরা ২২ ভাগ থেকে তিন ভাগে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...