loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ঈদ-নববর্ষের ছুটি শেষে অফিস খুলেছে

  • লিভারপুলের পরে আর্সেনালের পরাজয়ে ম্যানসিটিই শীর্ষে

  • বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে লেভাকুজেনের বুন্দেসলিগা জয়

  • শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণ

  • আনন্দমুখর পরিবেশে বঙ্গাব্দ-১৪৩১ বরণ-উৎসব উদযাপিত

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারালো পাকিস্তান


দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারালো পাকিস্তান

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩০৫/৭ (বাবর ১১৫, ফখর ৫৪; হাসারঙ্গা ২/৬৩)
শ্রীলঙ্কা: ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ (জয়াসুরিয়া ৯৬, দাসুন ৬৮; শেনওয়ারি ৫/৫১)
ফলাফল: পাকিস্তান ৬৭ রানে জয়ী

নিয়মিত একাদশের অনেক ক্রিকেটারই যাননি পাকিস্তান সফরে। কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরারা, দিমুথ করুনারত্নে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, থিসারা পেরেরা প্রমুখ না থাকায় দুর্বল ছিল শ্রীলঙ্কা দল। ঘরের মাঠে তাই দাপট দেখিয়েই ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। বৃষ্টিতে প্রথম খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৬৭  রানে। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আগে ব্যাট করে বাবর আজমের শতরানের সুবাদে পাকিস্তানের করা ৩০৫ রানের জবাবে লঙ্কানদের থামতে হয়েছে ২৩৮ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকা এই সিরিজে খেলার বাইরের পরিবেশ ছিল বাড়তি আগ্রহের। যদিও করাচিতে দশ বছর পরে অনুষ্ঠিত এই ওয়ানডেতে গ্যালারি পরিপূর্ণ ছিল না। একাধিকার ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে ছন্দপতনও ঘটেছে এদিন।

দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেন ফখর জামান ও ইমাম-উল হক। ৩১ করা ইমামের প্রস্থানে ৭৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ফখর ফেরেন ৬৫ বলে ৫৪ রান করে। এরপর আসল নৈপুণ্য দেখান পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর। হারিস সোহেলের সঙ্গে ১১১ রানের জুটিতে দলের বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন তিনি।

৪৮ বলে ৪০ করে হারিস ফেরার পরও চলেছে বাবরের ব্যাট। ১০৫ বলে আট চার ও চারটি ছক্কায় ১১৫ রান করে লাহিরু কুমারার বলে আউট হন তিনি। 

ছয়ে নামা ইফতেখার আহমেদ ২০ বলে ৩২ করলে ৩০০ পেরোয় পাকিস্তানে রান।

৩০৫ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শুরু হয় চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। মাত্র ২৮ রানে ফেরেন তাঁদের প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যান। লঙ্কানদের টপ অর্ডার ধ্বংস করেন মোহাম্মদ আমির ও উসমান শেনওয়ারি। শুরুতেই পরাজয়ের কাছাকাছি চলে যাওয়া দল ঘুরে দাঁড়ায় শিহান জয়াসুরিয়া ও দাসুন শানাকার ব্যাটে। এক পর্যায়ে অবিশ্বাস্য জয়ের ক্ষীণ আশাও জাগিয়ে তুলেছিলেন এই দু’জন।

ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের জুটি যখন বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে - তখনই দু’বার ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে খেলায় বিঘ্ন ঘটেছে। ফলে কিছুটা গতিও হারিয়ে ফেলেন এঁরা। তাঁদের ১৭৭ রানের জুটি ভাঙে সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকা জয়াসুরিয়ার আউটে। এই বাঁহাতি ৯৬ রানে উইকেটের পেছনে শেনওয়ারির বলে ক্যাচ দেন। এরপরের ওভারেই বিদায় নেন দাসুন; ফলে সফরকারী দলের রানের চাকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়াই ছিল স্বাভাবিক।

একই মাঠে আগামী ২ অক্টোবর হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ।

Loading...