loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনারও রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী


বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনারও রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নেরই নয়, দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনাতেও বিশ্বে একটি রোল মডেল দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বে এখন আমরা শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাতেও রোল মডেল হিসেবে একটা সম্মান পেয়েছি।”

শেখ হাসিনা রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

শেখ হাসিনা বলেন, “বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড়, অগ্নিকান্ড - এসবে ক্ষয়ক্ষতি যাতে হ্রাস পায় তার জন্য যা ব্যবস্থা নেয়ার - ইতোমধ্যে আমরা তা নিয়েছি, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং সবাই মনে করে এটাও বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখার রয়েছে। অনেকে আমাদের কাছ থেকে এটা এখন জানতে চায়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ-বছর জুলাই মাসে ঢাকায় গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন-এর সভা হয়েছে। সেখানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন দুর্যোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বিশ্ব অভিযোজন কেন্দ্র, ঢাকা অফিস’ স্থাপনের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যে কোন ধরনের দুর্যোগের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যেকোন মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আসুক আর প্রাকৃতিক দুর্যোগই আসুক সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত থাকবে সেটাই আমি চাই। আমাদের ভলান্টিয়াররা নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে, সেটারই আমি আশা পোষণ করি।”

প্রধানমন্ত্রী এ-সময় যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণেও সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, “আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তাঁর একটা স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। আমরা সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।”

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ বি তাজুল ইসলাম; সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় দুজন ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ প্রাপ্ত ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শিউলী রানী শিল এবং কুড়িগ্রামের মো.শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সেরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ -বছর ৮২ জনকে ‘সিপিপি’ পুরস্কার দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তিন জনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এঁরা হলেন - কক্সবাজারের চকোরিয়ার বুলবুল জান্নাত, ভোলার লালমোহনের এ কে এম কামরুল ইসলাম এবং খুলনার মোংলার সুস্মিতা মন্ডল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অগ্রগতি তুলে ধরে ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী-১৯৯৭ প্রণয়ন করেছিলাম। পরবর্তীতে আমরাই আবার ২০১০ সালে এটি হালনাগাদ করি। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল গঠন করি।”

২০১২ সালে তাঁর সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই আইনের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে, যা দুর্যোগ মোকাবেলা, ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।”

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুহারা মানুষের দুর্দশার বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ২০১৫ সালে আমরা একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করি এবং জাতীয় রিজিলিয়েন্স পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, যা সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ও এসডিজি’র সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০১৫ সালে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) প্রতিষ্ঠা করেছে। বড় ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পূর্বাচলে একটি স্টেজিং এরিয়া নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে, যেন জরুরি অবস্থায় এটি প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোরও প্রয়োজন মেটাতে পারে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সিভিল মিলিটারি সমন্বয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিজিওনাল কন্সালটেটিভ গ্রুপের (আরসিজি) মাধ্যমে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছি”, বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনাইটেড নেশন্স অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (ইউএনডিআরআর) প্রণীত স্লোগান ‘বিল্ড টু লাস্ট’ এর আলোকে এ-বছরের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্য - ‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি,’ আমাদের সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য ও কর্ম কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ঘূর্ণিঝড় থেকে জানমাল রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে দুর্যোগ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বর্তমানে ৫৫ হাজার ৫১৫ জন সে¦চ্ছাসেবকের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

তাছাড়াও, ৩২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক, প্রায় ২৪ লক্ষ আনসার-ভিডিপি, ১৭ লক্ষ স্কাউটস, ৪ লাখ বিএনসিসি এবং গালর্স গাইডের ৪ লাখ সদস্য যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে, বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার আরও ৩৭৮টি মুজিব কেল্লা নির্মাণ করছে। এছাড়া, সরকার দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৩,৮৬৮টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছে। পর্যায়ক্রমে, আরও ১,৬৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব অনেকাংশে কমে এসেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়া, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেই লোকগুলোকে সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা এবং দুর্যোগকালীন করণীয় বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নিয়মিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

’৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরে সে সময়কার বিএনপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ।

তিনি বলেন, “একটা সরকার যদি সচেতন না থাকে, সজাগ না থাকে তাহলে কত বড় ক্ষতি হতে পারে সেটা ’৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে আমরা দেখেছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “সে-সময় খালেদা জিয়া সংসদে বলেছিলেন যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি। আমি তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে।”

দুর্যোগকে অন্তর্ভুক্ত করে নেদারল্যান্ডের সহযোগিতায় প্রণীত শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’র পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ-পর্যন্ত ৩ হাজার ১৪৫ কি.মি. রাস্তা হেরিং বোনবন্ড, ২৮ হাজার ৪৯৪টি সেতু ও কালভার্ট, ২৫৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৫,২০৫ কি.মি. রাস্তা হেরিং বোনবন্ড, ১৩ হাজার সেতু ও কালভার্ট, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র এবং ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের স্বরূপ পরিবর্তন করে গৃহহীনদের জন্য ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে উদ্ভাবনী কর্মী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে লাঘব করা সম্ভব - তার প্রমাণ আমরা রাখতে পেরেছি।”

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় তাঁর সরকারের ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় আমরা একটা জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করি। এজন্য বাজেট থেকে বিশেষ বরাদ্দ দেই। ১৩৫টির মতো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”

’৮০ দশক থেকে কৃষকলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সরকারের আসার পর দেশের বনভূমি বৃদ্ধির পদক্ষেপ, উপকূলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি করা, ’৯৬ সালে সরকারের আসার পর হেলিকপ্টারে করে পাহাড় অঞ্চল এবং দ্বীপ অঞ্চলে ব্যাপকহারে বীজ ছড়িয়ে বনায়নের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রয়োজনে দুই বছর পর্যন্ত খাদ্য মজুদ করে রাখার জন্য ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা ৩ লাখ ২৮ হাজার সাইলো বিতরণ করেছি (পার্সোনাল সাইলো)। মোট আমরা পাঁচ লাখ পরিবারকে এই সাইলো দেবো। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় আমরা পাঁচ লাখ মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন আটটি সাইলো কমপ্লেক্স নির্মাণ করছি। যাতে কারো কাছে ভিক্ষে চাইতে না হয়, নিজেদের খাদ্য দিয়েই আপৎকালীন সময় মোকাবিলা করা যায়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা, ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে নদী শাসনের ব্যবস্থা, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, দেশব্যাপী জলাশয় রক্ষা এবং সংস্কার, দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে মানুষকে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ নির্মাণ করে দেয়ায় সরকারের পদক্ষেপসমূহও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “যেখানে নদী-ভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। নদী-ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”

সরকার-প্রধান বলেন, মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করার ফলে চর, পাবর্ত্য অঞ্চল, দ্বীপসহ দুর্গম অঞ্চলে আবহাওয়া বার্তা পৌঁছানো সহজ হয়েছে।

“আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে-বিষয়ে সজাগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।”

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থল থেকে ৬৪ জেলায় ১১,৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মেলারও উদ্বোধন করেছেন তিনি।

Loading...