loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব ১৪২৬


বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব ১৪২৬

নতুন ধানে ভরে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের গোলা। উঠোনময় কিষাণীর ব্যস্ততা আর সোনালি ধানের ঘ্রাণ। সেই ঘ্রাণে ভর করে গ্রামের নবান্ন উৎসব এদেশে গ্রামের মেঠোপথ হয়ে স্পর্শ করে থাকে ইট-পাথরের রাজধানীকেও।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) নগর-প্রকৃতির ভিড়ে বাংলার ফসল তোলার ‘নবান্নোৎসব ১৪২৬’ উদযাপন করেছে লোকজ সংস্কৃতিপ্রেমী রাজধানীবাসী। শহুরে-জীবনের ব্যস্ততায় শেকড়কে প্রায় ভুলতে বসা তরুণ-সমাজকে দেশিয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও লোকজ উপাদানগুলোকে নাগরিক জীবনে আরও বেশি আপন করে নেওয়ার প্রত্যয় এসেছে এবারের জাতীয় নবান্নোৎসবে।

হেমন্তের প্রথম সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজন করে থাকে এই উৎসবের।

সকাল সাতটায় বাঁশি, বাংলা ঢোল, কিবোর্ড, গিটার ও অন্য যন্ত্রসঙ্গীতের সমন্বয়ে লোকজ সুরের আবহে শুরু হয় এবারের উৎসব। ‘সবুজ শোভা ঢেউ খেলে যা, ঢেউ খেলে যা আমন ধানের খেতে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নটরাজের শিল্পীরা।

প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনের উদ্বোধন ও নবান্ন কথন পর্বে অংশ নেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। বক্তব্য রাখেন নবান্নোৎসব উৎসব পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান সুজা। সভাপতিত্ব করেন নবান্নোৎসব পর্ষদের চেয়ারপারসন লায়লা হাসান। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

‘নবান্ন কথন’ পর্বের আলোচনায় নবান্নসহ আবহমান বাংলার বিভিন্ন উৎসব যেন নগরায়নের প্রভাবে হারিয়ে না যায় - সে-বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীবৃন্দ। হাজার বছরের চিরায়ত উৎসবগুলো আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বানও জানান তাঁরা।

উদ্বোধন ও নবান্ন কথন পর্ব শেষে শুরু হয় উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব। এই পর্বে লোকগানের সঙ্গে নৃত্যের পাশাপাশি অগ্রহায়ণে বাংলার প্রধান ফসল ধান কাটা নিয়ে ছিল গান। বিভিন্ন ধরনের লোকগানের সঙ্গে শিল্পীরা গেয়ে শোনান দেশের গান, লালনগীতি, নজরুলসঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীত।

আরও ছিল দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। ‘আমার বাংলা মায়ের মাটির সুরে জুড়ায় মনপ্রাণ’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যজন। ‘আহা রে খুশি খুশি মন, নবান্নে রইলো বন্ধু তোমার নিমন্ত্রণ’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে বকুল নৃত্যালয়।

গান পর্বে ‘নবান্নতে রইলো বন্ধু তোমার নিমন্ত্রণ’ গান পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। ‘শত স্বপ্নের দেশ আছে পৃথিবী জোড়া মানচিত্র’ পরিবেশন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে ‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা’ গানটি।

গুড়-মুড়ি ও খই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় এদিনের অনুষ্ঠানে আগত বাংলার সংস্কৃতি-প্রেমী মানুষগুলোকে। এদিন বিকেলেও রয়েছে নবান্নোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

Loading...