এসিসি এমার্জিং টিম্স এশিয়া কাপ ক্রিকেট ২০১৯
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাভার, ঢাকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২৪৬/১০, ৫০ ওভার (আরমান ১০৫, গুপ্ত ৪০, সুমন ৪/৬৪)
বাংলাদেশ: ২৫০/৪, ৪২.১ ওভার (শান্ত ৯৪, সৌম্য ৭৩, রাথোর ১/১৬)
ফলাফল: বাংলাদেশ ছয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত (বাংলাদেশ)
জাতীয় ক্রিকেট দল ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের কাছে টেস্ট ম্যাচে ইনিংস পরাজয়ের স্বাদ পেলেও এসিসি এমার্জিং টিম্স এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রতিবেশি দেশটিকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ছয় উইকেটে পরাজিত করে ভারতকে। গত বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে নয় উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে, ভারত সাত উইকেটে হারিয়েছিল নেপালকে।
এদিন সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)’র তিন নম্বর মাঠে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন ঘটায় স্বাগতিকরা। ধাক্কা সামলে উঠলেও ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান বড় স্কোর গড়তে পারেননি। তবে চার নম্বরে নামা আরমান জাফর এক প্রান্ত আগলে অবলীলায় দলের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন। ৪০ রানের ইনিংস খেলে আরমানকে সঙ্গ দেন কিনায়ক গুপ্ত।
৪৮তম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন আরমান। আট চার ও তিন ছক্কায় ৯৮ বলে ১০৫ রান করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ভারত।
বাংলাদেশের সুমন খান ৬৪ রানে চার উইকেট নেন। এছাড়া তানভীর ইসলাম ও সৌম্য সরকার দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন।
জয়ের জন্য ২৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে হারায় বাংলাদেশ। নয় বলে ১৪ রান করে ফেরেন নাইম। তবে শুরুর ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪৪ রান যোগ করেন তাঁরা। দু’জনই অর্ধশত রান করেছেন। সৌম্য সাত চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ বলে ৭৩ রান করেন। এর আগে হংকংয়ের বিপক্ষে ৭৪ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করেছিলেন সৌম্য।
শতরানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত, কিন্তু দুভার্গ্য তাঁর, ৯৪ রানে থামতে হয়েছে তাঁকে। ১৪টি চার ও দুইটি ছক্কায় ৮৮ বলে ৯৪ রান করেছেন ম্যাচ-সেরা এই ব্যাট্সম্যান।
সৌম্য-শান্ত’র দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের দিকে ইয়াসির আলির ২১, আফিফ হোসেনের অপরাজিত ৩৪ ও জাকির হোসেনের অপরাজিত দুই রানে ৪৭ বল বাকী থাকতেই জিতে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।