শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)। শনিবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন ও প্রজনন-স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম বলেন, “জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা রোধ ও নারী শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তরসমূহের জন্য আমরা ‘Operational strategy to prevent and respond to Gender Based Violence and Gender Discrimination in the work place’ শীর্ষক স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করেছি।
২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর নারীর প্রতি সহিংসতা বজায় থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হবে না। বর্তমান সরকার শ্রমবান্ধব সরকার। নারীরা এখন দেশের বড় বড় জায়গা থেকে দেশে অবদান রাখছেন। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অশোভন আচরণ রোধে আমরা সদা প্রস্তুত রয়েছি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, “চা-শিল্পে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, প্রজনন ও যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ে চা-শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক ৩০টি অ্যাডভোকেসি সভা ও ২৬টি ‘Social Behavioral Change Communication (SBCC)’ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সেক্টরে কর্মরত নারীদের শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে এ-রকম আরও প্রকল্প হাতে নেব। নারী-শ্রমিকদের প্রতি শোভন আচরণ নিশ্চিতে দপ্তর কর্তৃক ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোঃ মাহবুবুল হাসান বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, নারীর প্রজনন-স্বাস্থ্য ও যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ে চা, চামড়া ও পোশাক শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে ইতোমধ্যে শতাধিক অ্যাডভোকেসি সভা আয়োজন করা হয়েছে। নারী-শ্রমিকদের প্রতি শোভন আচরণ নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে এ-রকম আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরি চা-শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আরও ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামসহ শ্রমিকবৃন্দ ও অংশীজন।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
