loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

বাংলাদেশে আরব আমিরাতের আরও বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর


বাংলাদেশে আরব আমিরাতের আরও বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৭ নভেম্বর) পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইউএই’র উদ্যোক্তাদের আরও বড় আকারের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “আমাদের সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”

আবুধাবীতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন হোটেল সাংরি-লা’তে তাঁর সম্মানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করে শেখ হাসিনা এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা এবং একশ’র অধিক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুবিধাদি প্রদান করছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে সহনীয় বিনিয়োগনীতি বিদ্যমান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তৈরি পোশাক-শিল্প, ভবন অবকাঠামো নির্মাণ, নির্মাণ-শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, হালকা-প্রকৌশল, শিল্প পার্ক এবং পণ্য সরবারাহের কেন্দ্র হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শীর্ষ উদ্যোক্তাগণ এবং ইউএই’র স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তাঁদের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশে বিদ্যমান বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষা নীতিমালার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগকে সুরক্ষা প্রদান, শুল্ক রেয়াত, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, যেকোনো সময় লাভ ও আসলসহ প্রস্থানের সুবিধা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

তৈরি পোশাকের পরেই আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষি ভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।”

বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই’র যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খুঁজে বের করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আমিরাতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।”

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।”

বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএই’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নিটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য ও প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ-বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএই সফরের কথা স্মরণ করেন যখন বাংলাদেশ ও ইউএই’র মধ্যে বন্দর স্থাপন, শিল্প পার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলএনজি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার সেই সফরকালে আমরা ইউএই’র পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম। ইউএই’র সংস্থা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও সৌরশক্তিসহ জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “তাঁরা তখন এলএনজি টার্মিনাল ও বন্দর প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমরা তখন আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প চালুর প্রস্তাব পেয়েছিলাম।”

Loading...