loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

  • সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত

  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি আর নেই

কোরিয়াকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ পরে ব্রাজিলের জয়


কোরিয়াকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ পরে ব্রাজিলের জয়

কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পরে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল ব্রাজিল ফুটবল দল; টানা পাঁচ ম্যাচে জয়হীন। তবে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটি। আবু ধাবিতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) প্রীতিম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে কটিনিয়োরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। থিয়াগো সিলভা ও অ্যালেক্স সান্দ্রোর জায়গায় খেলেছেন মার্কিনিয়োস ও রেনান লোদি। মিডফিল্ডে কাসেমিরো ছিলেন না। ফাবিনহো খেলেছেন। আক্রমণভাগে প্রথম একাদশে ফিরেছেন কটিনিয়ো ও রিচার্লিসন। দলের এই পরিবর্তন দারুণ কাজে দিয়েছে। শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল উপহার দেয় দলটি। হারলেও অবশ্য দারুণ লড়াই করেছে কোরিয়া।

এদিন নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কটিনিয়োর বাড়ানো বল ধরে গোলমুখে আড়াআড়ি ক্রস করেন রেনান লোদি। দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লুকাস পাকিয়েতা (১-০)। 

পঞ্চদশ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন সন হিউং-মিন। তবে শটে তেমন জোর না থাকায় সতর্ক গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের তা ধরতে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি।

২১তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল কোরিয়ার। সনের শট অল্পের জন্য বারপোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ছয় মিনিট পরে সুযোগ ছিল ব্রাজিলেরও। বাড়ানো বল দারুণ এক শট নিয়েছিলেন রিচার্লিসন; তবে ঝাঁপিয়ে পরে তা ঠেকিয়ে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক জ হিউন য়ো।

৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পায় ব্রাজিল, এর সুবিধা আদায়ও করে নেয় দলটি। দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান কটিনিয়ো (২-০)।

ছয় মিনিট পরে অবশ্য প্রায় নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিলেন কটিনিয়ো। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রিকিক নিচু শট নিয়েছিলেন সন। গোলরক্ষক অ্যালিসন ফেরালেও ফিরতি বল মাঠের বাইরে মারতে যান কটিনিয়ো। তবে বারপোস্টে লেগে ফিরে এলে রক্ষা পায় দলটি।

বিরতির পরপরই ব্যবধান কমাতে পারতো কোরিয়া। ডি-বক্সের মধ্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলি নেন সন। তবে ফাঁকায় থাকা সতীর্থদের দিলে গোল হতে পারতো। 

৫৫তম মিনিটে কটিনিয়োর ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়া সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাকুয়েতা। পরের মিনিটে তার আরও একটি দারুণ শট ডি-বক্স থেকে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান একজন ডিফেন্ডারে।

৬০তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত থেকে লোদির ক্রস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দানিলো জোরালো এক শট গোলরক্ষক ফিস্ট করলেও তা জালে জড়ায় (৩-০)। 

সাত মিনিট পরে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। রিচার্লিসনের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৭১তম মিনিটে ভালো সুযোগ ছিল জাসুসের; তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। পরের মিনিটে দারুণ সুযোগ ছিল কোরিয়ারও। ডিফেন্ডারের ভুল ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন কিম জিম সু; তবে তাঁর শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। 

৭৫তম মিনিটে সনের আরও একটি জোরালো শট ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। ৮৪তম মিনিটে বলদি খেলোয়াড় রাবার্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন রিচার্লিসন।

Loading...