loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি


মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি

অসাধু ব্যবসায়ী, লুটেরা, মুনাফাখোর ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, এঁরা গুজব ছড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। তিনি বলেন, “পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর, লুটেরা ও মজুতদারদের মধ্যেও ঐক্য রয়েছে। এখন এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

রাষ্ট্রপতি শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রয়োদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সম্প্রতি পেঁয়াজ, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এতে সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদের ব্যাপারে গুজব সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গণমাধ্যম কর্মীদেরও এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।”

পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্দুল হামিদ বলেন, “বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হ্রাস পায়। এমনকি রমজান মাসে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষও পণ্যের মূল্যহ্রাস করে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই। এদেশে রমজান মাস এলেই ইফতারি তৈরিতে ব্যবহৃত বেগুন, শসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়।”

তিনি বলেন, “জনগণকে অবশ্যই এই দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

উচ্চশিক্ষা যাতে কোনোক্রমেই সনদসর্বস্ব না হয় - তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মানসম্মত না হলে শিক্ষা মূল্যহীন। বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হলো - শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পাঠ্যবিষয়ের সাথে সাথে বহির্জগতের জ্ঞানভাণ্ডার থেকেও জ্ঞান আহরণ করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে হবে। নিজেদের কর্মী ও জ্ঞানী করে তোলাই শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য।”

শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “শিক্ষিত হয়ে তোমরা কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। মনে রেখো, জ্ঞান, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের কোনো শেষ নেই।”

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন-বক্তা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন তামারা হাসান আবেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী অরিত্র রায় আর্চ।

Loading...