রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি তাঁকে বলেন, “নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শিক্ষা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ-বিষয়ে জানিয়েছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষকে এর পরিবেশের উন্নয়নে বিশেষ জোর দিতে নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকান্ডে জড়িত করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন - যেখানে প্রায় ২০,৮০০ গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। তিনি রাষ্ট্রপতিকে আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন সম্পর্কেও জানান।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক সেই সেমিনারে দেশ-বিদেশের শতাধিক বিজ্ঞানী অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, অ্যাসোসিয়েশন ফর দি প্রিভেনশন অফ ড্রাগ অ্যাবিউস (মানস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার অরূপ রতন চৌধুরীর নেতৃত্বে চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।
প্রেস সচিব গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকে প্রতিনিধি দল মানস-এর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের সেবা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও অভিভাবকসহ সকলকে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।
