loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

মেরিটাইম আইন ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন


মেরিটাইম আইন ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন

সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং সমুদ্র-অঞ্চলে বিভিন্ন অপরাধ বিশেষ করে জলদস্যুতা প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ টেরিটোরিয়্যাল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোন আইন-২০১৯’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘আনক্লোজ-১৯৮২’, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত দুটি মামলা রায় (মায়ানমার ও ভারত) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেরিটাইম অঞ্চল ঘোষণা ও সীমা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিধিবিধান অন্তর্ভূক্ত করে ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম অঞ্চল আইন, ২০১৯’ এর একটি প্রাথমিক খসড়াটি প্রস্তুত করে। এর মধ্যে - সমুদ্র-সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণ, জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, চুরি, সমুদ্রে সন্ত্রাস, নৌচলাচলের নিরাপত্তাবিরোধী অবৈধ কর্মকান্ড দমন ও শাস্তি প্রদান, সামুদ্রিক পরিবেশ ও সামুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত, দূষণজনিত ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও সংরক্ষণ, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন, পর্যটন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সুনীল অর্থনীতি প্রভৃতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, “সুনীল অর্থনীতি এবং সমুদ্র-সম্পদের টেকসই অনুসন্ধান ও আহরণ থেকে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সঠিক মেরিটাইম অঞ্চল নির্ধারণ।”

তিনি বলেন, আইনটি প্রণীত হলে তা ব্যাপকভিত্তিক ‘মেরিটাইম অঞ্চল নির্ধারণ’সহ ‘অভ্যন্তরীণ জলসীমা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় জলসীমা’ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ‘একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে সমুদ্র-সম্পদের উপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া দলদস্যুতা, সমুদ্র-সন্ত্রাস, সমুদ্র-দূষণসহ সমুদ্রে সংঘটিত অপরাধসমূহ ও নৌচলাচল নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বেআইনি কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

পাশাপাশি সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সুষ্ঠু সমুদ্র-ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মেরিটাইম সহযোগিতা থেকে সুফল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই আইনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়, বলেছেন তিনি।

খসড়া আইনানুযায়ী দস্যুতার ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান সম্পর্কে খন্দকার আনোয়ার বলেন, “জলদস্যুতা, সশস্ত্র চুরি, সমুদ্র-সন্ত্রাস করতে গিয়ে কেউ খুন করলে মৃত্যুদন্ড হবে। নরমাল কোনো ব্যক্তি জলদস্যুতা বা সমুদ্র-সন্ত্রাস করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। আর যা দস্যুতা করে নেবে - তা জব্দ করা হবে।”

তিনি বলেন, “কোনো ব্যক্তি জলদস্যুতা বা সমুদ্র-সন্ত্রাসের চেষ্টা বা সহায়তা করলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। আর যদি (জলদস্যুতায়) সহযোগী হয় সহায়তা দেয়, সেক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।”

সচিব বলেন, “ভিন্ন দেশের লোকও যদি আমাদের জলসীমায় এসে এসব অপরাধ করেন, তিনিও একই শাস্তি পাবেন।”

বাংলাদেশের জলসীমা দিয়ে চলাচলের সময় বিদেশি জাহাজে অপরাধ সংঘটিত  হলে অপরাধী গ্রেফতার ও তদন্ত এই আইনানুযায়ী পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ মেরিটাইম অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ এবং সমুদ্র-সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দি টেরিটোরিয়্যাল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। পরবর্তী সময়ে ‘১৯৮২ সালে ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন অন দি ল অফ দি সি’ (আনক্লস-১৯৮২) শীর্ষক কনভেনশন জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হলে একই বছর ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশন স্বাক্ষর করে।

Loading...