loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়-ব্যবস্থাপনা সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান


সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়-ব্যবস্থাপনা সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

আইসিটি বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়-ব্যবস্থাপনা সফ্টওয়্যার ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সোমবার (২৫ নভেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাটফর্ম অ্যান্ড ইউনিফাইড ইউনিভার্সিট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করলে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

রাষ্ট্রপতি হামিদকে উদ্ধৃত করে তাঁর প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন অ্যাপটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে বিভিন্ন সেবা বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাবে। এটি ব্যয় ও সময় কমাতেও সহায়ক হবে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, এটি সেবা প্রার্থীদের কাছে সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থাপিত ধারণাপত্র মনোযোগ সহকারে শুনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। সারাদেশে ডিজিটাল কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ এখন ১৫০ ধরনের সেবা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৫শ’ উদ্যোক্তা প্রতিমাসে ৬৪ লাখ সেবা দিচ্ছে এবং ৩ কোটি ৬০ লাখ সুবিধাভোগী বিভিন্ন ই-সেবা পাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক মিলে বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই সফ্টওয়্যারটি এসব প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে চলার ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে।

এ-সময় পলক রাষ্ট্রপতিকে অ্যাপটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এর মাধ্যমে সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ খুবই স্বল্প সময়ে ও সহজভাবে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রগতি-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন - যেখানে তিনি ২০০৯ সাল থেকে এ-পর্যন্ত ডিজিটাল সেবা জোরদারে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ - মানসম্মত উন্নয়ন, সবার জন্য ইন্টারনেট, ডিজিটাল প্রশাসন এবং তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি-শিল্প সম্পর্কে অবহিত করেন।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম-উজ-জামান ও ফরহাদ জাহিদ এ-সময় শেখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Loading...