loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ডেটা সেন্টার এখন বাংলাদেশে


বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ডেটা সেন্টার এখন বাংলাদেশে

বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ডেটা সেন্টার এখন বাংলাদেশে। এর আপ টাইম ৯৯.৯৯ শতাংশ। এখানে ডেটা স্টোরেজ ব্যাকআপ, রিকভারি, ডেটা সিকিউরিটি, ডেটা শেয়ারিং, ই-গর্ভানেন্স, ই-সার্ভিস পাওয়া যাবে। এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা দুই পেটাবাইট (১০ লাখ গিগাবাইট=১ পেটাবাইট)। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি, স্পেনে দুইটি, সৌদি আরব ও কানাডা একটি করে ‘টায়ার ফোর ডেটা সেন্টার’ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোর টায়ার জাতীয় ডেটা সেন্টারের উদ্বোধনকালে এটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ার পথে আরেক ধাপ অগ্রণী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এই ডেটা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

দেশের উন্নয়নের জন্য ডেটা সংরক্ষণ জরুরি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তারই অংশ হিসেবে এই ডেটা সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হলো।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ডেটা সেন্টারটি স্থাপনের পর ডেটা সংরক্ষণের জন্য আমাদের আর অন্য কারো উপর নির্ভর করতে হবে না। এর মাধ্যমে বছরে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা আয় বা খরচ-সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।”

চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির সাত একর জমিতে গড়ে তোলা এই ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পেং যৌথভাবে এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ডেটা সেন্টারটি ইতোমধ্যে বিশ্বের সেরা মান নির্ধারণ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘আপ টাইম ইনস্টিটিউট’ থেকে মাননিয়ন্ত্রণ সনদ অর্জন করেছে।

এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী (রিসার্চ ভেসেল) এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের পাঁচটি নতুন জাহাজও উদ্বোধন করেন।

এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ডেটা সেন্টার। এর আপ টাইম ৯৯.৯৯ শতাংশ। এখানে ডেটা স্টোরেজ ব্যাকআপ, রিকভারি, ডেটা নিরাপত্তা, ডেটা শেয়ারিং, ই-গর্ভানেন্স, ই-সেবা পাওয়া যাবে। এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা দুই পেটাবাইট (১০ লাখ গিগাবাইট=১ পেটাবাইট)। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি, স্পেনে দুইটি, সৌদি আরব এবং কানাডায় একটি করে ‘টায়ার ফোর ডেটা সেন্টার’ রয়েছে।

১৯৯৬ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি খাতে মোবাইল ফোন উন্মুক্তকরণ এবং তাঁর আইসিটি বিষয়কউপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে কম্পিউটার সামগ্রী থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ দেশকে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে ওঠায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনকে জনগণের নাগালের মধ্যে আনায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এ-সম্পর্কে জানতাম (বিএনপি’র এক মন্ত্রীর মনোপলি ব্যবসা); তাই ক্ষমতায় এসেই আমি মোবাইল ফোনকে উন্মুক্ত করে দিলাম বেসরকারি খাতে, যেন প্রত্যেকের হাতে এটি পৌঁছে যায়।”

“সত্যিই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি” - উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং সারাদেশে ২৮টি আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগও তুলে ধরেন। সারাদেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ, ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে নেওয়ায় ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী চারটি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রকল্প এলাকার প্রশাসন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ-সময় উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, পার্বত্যচট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুল উশৈ সিং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গণভবন প্রান্তে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয় মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।

Loading...